parbattanews

রাজস্থলীতে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। তারমধ্যে রাজস্থলী উপজেলা একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির অনন্য উদাহারণ সৃষ্টি করেছে। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে একাকার। আমরা সবাই ভাই-ভাই, আমরা সবাই একসাথে চলি, একসাথে খাই, একসাথে উৎসব পালন করি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এই উদাহারণ দেশময় ও বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক এটাই প্রত্যাশা করি।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ও ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদে রাজস্থলীতে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে রাজস্থলী উপজেলাসহ তিনটি ইউনিয়নের ‘সামাজিক-সম্প্রীতি’ কমিটির সভা উপজেলা ও ইউনিয়নে পর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম, ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।তিনি আরও বলেন, মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবেন। ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। এর ফলে মানব সমাজের ঐক্য-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়।

এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২নং গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, থানা সেকেন্ট অফিসার সুজন, রানা বড়ুয়া, সাংবাদিক আজগর আলী খান, মহিলা সভানেত্রী, লংবতি ত্রিপুরাসহ দুইটি ইউনিয়ন পরিষদ হতে আহত মেম্বার, মহিলা মেম্বার ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

Exit mobile version