১৬ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রামগড়ে অত্যাধুনিক থানা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন: বাড়বে পুলিশি সেবার মান

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন থানা ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি’র  নবনির্মিত এ থানা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। ৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত অত্যাধুনিক থানা ভবন নির্মাণের ফলে এখানে পুলিশি সেবার মান ও গতি বাড়বে বলে আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রামগড় থানার কার্যক্রম পরিচালিত হয় ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত একটি ছোট টিনশেডের জরাজীর্ণ ভবনে। দীর্ঘদিন থেকে নতুন থানা ভবন নির্মাণের দাবি উঠে সর্ব মহল থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশ বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের ১০১টি থানার নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রামগড়ে অত্যাধুনিক থানা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় গত জুনে।

গণপুর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রকল্প কাজের ঠিকাদার খাগড়াছড়ির এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা ২০১৫ সালে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ঐ বছরের ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এ থানা ভবনের আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

নবনির্মিত অত্যাধুনিক থানা ভবন সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, চারতলা বিশিষ্ট বিশাল ভবনটির ডিজাইন অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। রামগড় ফেনী প্রধান সড়কে চলাচলকারী সকলের নজরকাড়ে এ ভবনটি। প্রবেশদ্বারে দৃস্টিনন্দন গেইট ও ভবনের সন্মুখে রয়েছে একটি সুন্দর স্যালুটিং ডাইস। ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে অভ্যর্থনা ডেস্ক। এ ফ্লোরে অন্যান্য কক্ষের মধ্যে রয়েছে, সার্ভিস ডেলিভারী সেন্টার, ডিউটি অফিসারের অফিস কক্ষ, অফিসার ইনচার্জের (ওসি) অফিস কক্ষ, ওসি (তদন্ত) অফিস কক্ষ, বেতার রুম, ৫০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কনফারেন্স রুম, শিশু সহায়তা ডেস্ক, বয়স্ক নারী ও প্রতিবন্ধি সহায়ক ডেস্ক, আধুনিক মানের ওয়াশ রুম ও ডাইনিং রুম। প্রথম ফ্লোরে অফিসারদের পৃথক কক্ষ ছাড়াও রয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ, পুরুষ, মহিলা ও শিশু আসামীদের জন্য পৃথক ৪টি হাজতখানা, দুটি জিজ্ঞাসাবাদ সেল রুম ও একটি অবজারভেশন রুম। দ্বিতীয় ফ্লোরে মালখানা, অস্ত্রাগার, ডিবি ও ডিএসবি’র অফিস রুম, রেকর্ড রুম ও মহিলা পুলিশ সদস্যদের ব্যারাক। তৃতীয় ফ্লোরে রয়েছে বিনোদন রুম, পুরুষ পুলিশ সদস্যদের ব্যারাক, নামাজ পড়ার কক্ষ ও অযুখানা।

এদিকে, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মো: ফরহাদ বলেন, শত বছরের পুরাতন জরাজীর্ণ একটি ছোট টিনশেড ভবনে অত্যন্ত কষ্টের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে পুলিশকে। আধুনিক থানা ভবন নির্মাণের ফলে শত বছরের দুর্ভোগ ও দুর্দশার লাঘব হল। তিনি বলেন, এতে পুলিশের কাজের সক্ষমতা ও গতি বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ কাঙ্খিত সেবা পাবেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মো: আব্দুল হান্নান জানান, থানার ভূমির পরিমাণ ৩ দশমিক ৫৩ একর। নতুন ভবন নির্মাণের ফলে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হল। ওসিসহ অফিসারদের ফ্যামিলি কোয়ার্টারের নির্মাণ কাজও শীঘ্রই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন