লক্ষ্মীছড়িতে এলজিএসপি-২ এর আওতায় ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু

PRRRRR

স্টাফ রিপোর্টার, লক্ষ্মীছড়ি:

স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্প(এলজিএসপি-২) অর্থ্যাত লোকাল গভার্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-টু এর আওতায় খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৩ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। ২৬ মে সোমবার হাইস্কুলের হল রুমে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজি মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

প্রকল্পের উপজেলা রির্সোস কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংগ্য প্রু মার্মা, কোর্স কো-অডিনেটর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: সফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিন লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও স্কিম সুপারভিশন কমিটির সদস্যদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ চলে। ২৭ মে দুল্যাতলী ইউনিয়ন এবং ২৮ মে বর্মাছড়ি ইউনিয়নে গঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা রয়েছে। এলজিএসপি’র মূল লক্ষ্য হলো-স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা।

এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায় সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে দেশের সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকল্প নেয়া, বাস্তবায়ন করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এ প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। ওয়ার্ড মেম্বারের সভাপতিত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন (ওয়ার্ড কমিটি) গঠন করা হয়েছে, রয়েছে ৭সদস্য বিশিষ্ট আরো একটি স্কিম সুপারভিশন কমিটি। সময় এবং স্বেচ্ছা শ্রম দিতে আগ্রহী এমন ব্যক্তিরাই এ কমিটির অর্ন্তভুক্ত হবেন। এছাড়াও উপজেলা এবং জেলা পর্যায় রয়েছে আলাদা মনিটরিং টীম। রয়েছে এলজিএসপি’র নিজস্ব একাধীক মনিটরিং টীম। ২৫হাজার টাকা থেকে ৫লাখ টাকা পর্যন্ত স্থানীয় চাহিদা এবং গুরুত্ব অনুসারে প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবেন। ২৫হাজার টাকার মধ্যে বিনা কোটেশনে এবং ৫লাখ টাকার মধ্যে যে কোন প্রকল্প গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোটেশনের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে কারিগরি দক্ষতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার বিধান রয়েছে। অর্থ অপচয় কিংবা কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতির আশ্রয় যাতে নিতে না পারে সে জন্য কঠোর নাজরদারিও থাকবে বলে প্রকল্পের নীতিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের কাগজে পত্রে কমিটির পুরনো ধারা পরিবর্তন করে সকলের অংশ গ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে এলজিএসপি এক নতুন ধারায় জনগনের সরাসরি উন্নয়নে কাজ করবে বক্তাদের এবং প্রশিক্ষকের মুখে এসব কথাই ওঠে এলো। সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনায় ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত, দেড়’শ বছর আগের এই পুরনো  প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজিয়ে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করে এলজিএসপি ফিরিয়ে আনবে এক আধুনিক গতিধারা। ২০০৩-২০০৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ প্রচেষ্টায় এলজিএসপি-১ নামে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন