শিক্ষাকে অগ্রধিকার দিয়ে বান্দরবানে জেলা পরিষদের ৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

Bandarban Bajet pic-26.6.2014

স্টাফ রির্পেটার:
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়।

বাজেটে সরকার থেকে সম্ভাব্য প্রাপ্তি ৪৩ কোটি টাকা ও পরিষদের নিজস্ব আয় হতে প্রাপ্তি ২ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) থেকে ১৮ কোটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাবদ হতে ২৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবারের মত এবারও শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় অগ্রধিকার দেয়া হয়েছে যে পরিবহন ও যোগাযোগ খাদে ৬ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবা খাতে পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটে সংস্থাপন ব্যায় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে নিজস্ব উৎস হতে আয় দেখানো হয়েছে ২ কোটি টাকা এবং সরকার হতে সহায়তার প্রত্যাশা (এডিবি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাবদ) ৪৩ কোটি টাকা দেখানো হয়। জেলার শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেটে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মূল বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২৮% শিক্ষা খাতে ব্যয় হিসেবে ৯ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে (২০%) ৬ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ খাতে (১৫%) ৫ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কৃষি ও সেচ খাতে (১৪%) ৪ কোটি ৮৩ হাজার টাকা, অন্যান্য নির্মাণ ও বস্তুগত অবকাঠামো খাতে (১৪%) ৪ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা, পশু সম্পদ ও মৎস্য খাতে (৪%) ১ কোটি ৩৮ টাকা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক খাতে (৩%) ১ কোটি ৩ লাখ ৫০হাজার টাকা, ভুমি অধিগ্রহণ/ক্রয় খাতে ((৩%) ৩ কোটি টাকা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতে (২%) ৬৯ লাখ টাকা।

বাজেট অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশিদ আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাতাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের নির্বাহী নুরুল আবসারসহ জেলা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাজেট ঘোষণাকালে চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্যাঞ্চল ভৌগোলিকভাবে বিশেষ এলাকা হিসেবে পরিগণিত। এই অঞ্চলের উন্নয়নে অধিক বরাদ্দ প্রয়োজন। কিন্তু সরকার থেকে সে অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়া যায়না। কাঙ্খিত বরাদ্দ পাওয়া গেলে বান্দরবান পার্বত্য জেলার অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়ন আরো গতিশীল আনা যেত। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নে চাহিদা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ তার সাধ্যমত চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি ও দারিদ্রতা হ্রাস কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পরিষদ। জেলায় ১১টি আদিবাসি জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে বান্দরবান জেলা পরিষদ ১৩ সদস্য বিশিষ্ট করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন