স্বাস্থ্যবিধি মানছে না রাঙামাটিতে আসা ট্যুরিস্টরা

fec-image

বছরের শুরুর নতুন সূর্য উদয়ের দিনে রাঙামাটিতে কয়েক হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ক্লান্তির অবসাদ ঘটাতে প্রকৃতির অপরূপ শহর পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে ভ্রমণ করছেন তারা।

স্থানীয় প্রশাসন করোনার মহামারী ঠেকাতে ট্যুরিস্টসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে পুরো শহর এবং জেলা জুড়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছে। মাস্ক পড়তে অনুরোধ জানাচ্ছে। বিশেষ করে ট্যুরিস্ট এলাকাগুলো জনসমাগম বেশি। তাই সেইসব এলাকাগুলোতে ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ স্টিকার এবং সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

কিন্তু জেলার বাইরে থেকে আগত ট্যুরিস্টরা স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা করছে না। মুখে নেই মাস্ক। মানছে না সামাজিক দূরত্ব। দলবেঁধে ছুটছে যে যার মতো।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, যদি স্থানীয় প্রশাসন ট্যুরিস্টদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় তাহলে রাঙামাটিতে দ্রুত সময়ে করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়বে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নতুন বছরের প্রথম দিনে রাঙামাটির বিখ্যাত ‘ঝুলন্ত সেতু’ দেখতে কয়েক হাজার পর্যটক এসেছে। তাদের বেশিরভাগের মুখে কোন মাস্ক নেই। মানছে না সামাজিক দূরত্ব। বলে-কয়ে মাস্ক পড়তে অনুরোধ জানালেও কিছুক্ষণ পর তা আবার খুলে ফেলছে। ওই এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের আনাগোনা থাকলেও পর্যটকদের সচেতনতায় তারা পালন করছে না কোন দায়িত্ব। ট্যুরিস্টদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পর্যটন কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ।

রাজধানী ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা বেসরকারি চাকুরীজীবী মো. রবিন বলেন, পকেটে মাস্ক আছে। পাহাড়ের বাতাস গ্রহণ করতে মাস্ক খুলে ফেলেছি। তার স্ত্রী সালমা বলেন, মাস্ক আছে। পড়তে ভাল লাগছে না।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী নেতা সৈয়দ এজাজুল হক বলেন, মাস্ক আছে। ঘুরতে গিয়ে পড়া হয়নি। যাওয়ার আগে আবার পড়ে নিবো।

চট্টগ্রামের স্কুল ছাত্রী ফারিহা দুসরা জানান, মাস্ক নিয়ে হাঁটছি। নতুন জায়গায় ঘুরতে এসে খুলে রেখেছি।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন-এর ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, আমরা শুরু থেকে ট্যুরিস্টদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করছি। কাউকে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাদের মাস্ক নেই, তাদের মাস্ক প্রদান করছি।

তিনি আরও বলেন, পুরো এলাকায় ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ স্টিকার এবং সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। চেষ্টা চালাচ্ছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন