ইতিহাস গড়লো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ
নাইক্ষ্যংছড়িতে ইতিহাস গড়ার সমাবেশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার (৩১ আগস্ট) উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় শোক মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ । মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জমায়েত হন সেই চিরচেনা উপজেলা পরিষদ চত্বরে। শুরু হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। সমাবেশে উপজেলার ওয়ার্ড় ও মহল্লা থেকে নেতা-কর্মীরা যোগ দেন।
দলের নেতারা জানান, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশে করেন তারা। সমাবেশে সভপতিত্ব করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী।
এ সময় বক্তরা বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই যেদিকে চোখ যায় শুধু উন্নয়ন চোখে পড়ে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে পার্বত্য মন্ত্রী ও পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের আস্থার ঠিকানা বাবু বীর বাহাদুরে উশৈসিং এমপির মাধ্যমে ৩ পার্বত্য জেলা আজ আলোকিত। পাহাড়ে আজ শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ও শান্তির পায়রা উড়ছে। জনগণ এতে বেজায় খুশি। কিন্তু এসবে বেঁকে বসেন বিরোধী পক্ষ। তারা জানে শুধু বিরোধিতা আর ষড়যন্ত্র করা। তাই তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আবারো শেখ হাসিনা তথা জাতীয় উন্নয়নের সরকার গঠনে আমরা ঔক্যবদ্ধ। এ ঐকের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর বাহাদুর তথা নৌকায় আবারো ভোট দিয়ে জয়যুক্ত” করার ঘোষণা দেন বক্তারা। তারা বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে এ ধরণের বড় সমাবেশ এই প্রথম। যেখানে ৬ থেকে ৭ হাজার নেতা কর্মী যোগ দেন।যাতে করে নাইক্ষ্যংছড়িতে ইতিহাস গড়লো আওয়ামী লীগ।
বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য ক্যানুয়ান চাক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বাহাদুর, ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লাওয়াই মার্মা, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ের চেয়ারম্যান আবু ইসমাঈল মোহাম্মদ নোমান, নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, বাইশারীর চেয়ারম্যান নুরুল আলম কোম্পানি, সোনাইছড়ির চেয়ারম্যান এ্যানিং মার্মা, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডা. সিরাজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চুচুমং মার্মা, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মামুন শিমুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, শ্রমিক লীগের সভাপতি জহির আহমদ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেদা বেগম, সাধারণ সম্পাদক প্রুমারী মার্মা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি সানজিদা আক্তার রুনা, সাধারণ সম্পাদক উমিংনু মার্মা, ছাত্রলীগ সভাপতি বদর উল্লাহ বিন্দু, সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম আজাদ, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো.সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল আবরার, ছাত্রলীগের সদর ইউনিয়নের সভাপতি ফয়সাল আজাদ, সাবেক কলেজ সভাপতি ইরফান মাহাবুব রায়হান, বাইশারী ছাত্রলীগের সভাপতি রিপনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা।