অবশেষে দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ার হাবিব ও সোহেল বদলি
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুর্নীতিবাজ দুই সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান ও সোহেল মিয়াজীকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-২ (মাঠ প্রশাসন) এর উপ-সচিব মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত (স্বারক নং-৩১.০০.০০০০.০৪৬.১১.০০২.১৫.১৮০) মূলে গত ১৪ মার্চ এক অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমানকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নেত্রকোনা, জেলা প্রশাসক কার্যালয় রাজস্ব শাখার সার্ভেয়ার সোহেল মিয়াজীকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মাদারীপুরে পদায়ন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান ও সোহেল মিয়াজী দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে ফিরে কক্সবাজারে কর্মরত থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সোহেল মিয়াজী ইতোপূর্বে সদর উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন।
এসময় ভূমি অফিসের উমেদার বদরুদ্দোজা ও ওরফে বদরুর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এরপর দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু হলে চেষ্টা তদবির করে ডিসি অফিসের রাজস্ব শাখায় চলে আসেন তিনি।
পরে ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের সময় সার্ভেয়ার সোহেল মিয়াজী ও হাবিবুর রহমান তাদের নিয়োজিত চিহ্নিত দালালদের মাধ্যমে ১৫% থেকে ৩০% কমিশন আদায় করে আসছিল। এতে তাদের প্রধান সহযোগী ছিল দালাল সিন্ডিকেটের প্রধান বদরুদ্দোজা ওরফে বদরু। দালাল সিন্ডিকেটের দাবি পূরণ না করায় এখনো শত শত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ১২ মার্চ এলএ শাখায় অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত ৪ দালালকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন।
এসময় মহেশখালীর কালারমারছড়ার ঝাপুয়া মারাক্কাঘোনা এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে খোরশেদ আলম ও হোয়ানক হাবিরছড়া এলাকার ছব্বির আহমদের ছেলে মো. ইব্রাহিমকে ২০ দিন করে, কালারমারছড়ার নুনাছড়ির এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে রকি উল্লাহ রকি ও মাতারবাড়ির মাইজপাড়া এলাকার মৃত জাকের আহমদের ছেলে আবদুল কাইয়ুমকে ১০ দিন করে সাজা দেয়া হয়েছে।