আংশিক লকডাউন বান্দরবানের তিন উপজেলায়
দিনদিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি। প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি হয়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আর এর থেকে রেহাই মেলেনি পার্বত্য অঞ্চল গুলো। বর্তমানে বান্দরবানের অবস্থাও শোচনীয়। বান্দরবান জেলা এবং উপজেলা মিলে মোট ৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছেন বান্দরবানের কর্ণধার পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
তবে বান্দরবানে এই পর্যন্ত করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। সকল চিকিৎসকগণ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে সকল করোনা রোগীকে সুস্থ করে তুলতে। এজন্য বান্দরবানে করোনা রোগীর জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে এবং ডাক্তারদের দক্ষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বান্দরবান জেলা লকডাউন এর কোন সম্ভাবনা আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করলে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী এই লকডাউন ঘোষণা করা হয় এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়িত হয়। এখনো পর্যন্ত তিনি এই রকম কোনো নির্দেশনা পাননি তবে বান্দরবানবাসী তথা সকল জনসাধারণের নিরাপত্তা জন্য সরকার থেকে যদি কোন নির্দেশনা আসে তাহলে অবশ্যই বান্দরবান জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হবে প্রয়োজনে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বান্দরবানের তিন উপজেলা আংশিকভাবে লকডাউন এ আওয়াতাধীন আছে। এছাড়াও জনগণের নিরাপত্তার জন্য অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সকল রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠ সহ বাজারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেল যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকদিন সবকিছু খোলার এবং চলাফেরা করার অনুমতি দিলেও অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।
এই বিষয়ে কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী রহিম উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান পেটের দায়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে আসতে হয়, না হলে পরিবারের সবাই না খেয়ে থাকে। ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় পেটের দায়ে আমরা সবকিছু পরিচালনা করতে পারি না সঠিকভাবে। কিন্তু সবার উচিত নিজেকে সুস্থ রেখে মানুষের সেবা করা এবং জিনিসপত্র বিক্রি করা তাহলে সবাই করোনাভাইরাস থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে।
হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র মতে ২ জুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি-ঘোড়া চলার অনুমতি প্রদান করাতে মানুষজন মরিয়া হয়ে বিভিন্ন জায়গায় তাদের কার্য সম্পাদন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার কারণে তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অবস্থান করছে এবং করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। তাই তারা আশা করছেন জনগণের নিরাপত্তার জন্য সরকারের এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।