আগামীকাল চাকসু নির্বাচন, ক্যাম্পাসে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি


আগামীকাল ১৫ অক্টোবর বুধবার সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। গতকাল ছিল প্রচারণার শেষদিন।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন। নির্বাচনে মোটা দাগে ১৩টি প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ২১ জন, খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সহ খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৫ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ দপ্তর সম্পাদক পদে ১৪ জন, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহ ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক পদে ১০ জন, বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১১ জন, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ২০ জন, স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে ১৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক পদে ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে ৯ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ২০ জন এবং পাঁচ নির্বাহী সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৮৫ জন। আর হল সংসদ নির্বাচনে ৯টি ছাত্র হলে ৩৫০ জন বিভিন্ন পদে লড়বেন। আর, পাঁচটি ছাত্রী হলে বিভিন্ন পদে লড়বেন ১২৩ জন। শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলে বিভিন্ন পদে লড়বেন ২০ জন প্রার্থী। পাঁচটি অনুষদের ১৫টি কেন্দ্রের ৬০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিটি রুমে গড়ে ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুবিধার্থে বিশেষ ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
সহকারী প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মনোয়ারা বেগম বলেন, প্রচারণার সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে সবধরনের মাইকিং, পোস্টার লাগানো বা অন্যকোনো প্রচার বন্ধ হয়ে যায়, সেদিকে প্রশাসন কঠোর নজর রাখবে। বুধবার অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, বুধবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যালেট পেপার ছাপানোসহ সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। চাকসু’র মোট ব্যালট পেপার চার পৃষ্ঠার। হল ও হোস্টেল সংসদের ব্যালট পেপার এক পৃষ্ঠার। ব্যালটে প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর থাকবে। বৃত্ত ভরাট করে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন। উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন না হওয়ায় সেটাকে অগ্রাধিকারের প্রথমে রেখে আয়োজন করা হয়। এরপর এখন হচ্ছে চাকসু নির্বাচন। এভাবে শিক্ষার্থীদের কী কী সুবিধা দেয়া যায় তার একটি অগ্রাধিকার তালিকা করে সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

















