আবারো আকাশসীমা লঙ্ঘন করল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আবারো আকাশসীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ প্রবেশ করে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের আওতাধীন কোনারপাড়া ৩৪-৩৫নং সীমান্ত পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঘুমধুম এলাকার ৩৪-৩৫নং সীমান্ত পিলার এর পাশে মিয়ানমার-বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করতে দেখা যায়। পাশাপাশি ২টার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সীমান্তের পাশের গ্রামগুলো থেকে অনেকে সরে গিয়ে অন্যত্র অবস্থান করছে। ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম
উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ঘুমধুম তমব্রু এলাকার বাসিন্দা সৈয়দুল বশর জানার, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে বলে তিনি জানান।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, প্রতিবারের মতো এবারও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল ওই দুটি মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করেন। পরে দুইদিন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর ফের গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের মিয়ানমার সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পাশাপাশি সীমান্তর এলাকা থেকে অনেকে অন্যত্র সরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।