কেএনএফ আতঙ্কে পালিয়ে আসা উপজাতীয়দের খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সেনাবাহিনী
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সদস্যদের ভয়ে বান্দরবানের খামতাং পাড়া থেকে পালিয়ে আসা খিয়াং সম্প্রদায়ের ৩০ পরিবারের ১৭৫ জন সদস্যকে খাবার ও বস্ত্র প্রদান করেছে ৫ ই-বেঙ্গল, বান্দরবান সেনানিবাস। শুক্রবার রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া খিয়াংদের এ সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও রুমা উপজেলার বম এসোসিয়েশনে আশ্রয় নেওয়া আরো ২২টি পরিবারের ৬৬ জনকে খাবার, ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে রুমা গ্যারিসনের ২৮ বীর।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউপি’র খামতাং পাড়ায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এবং কেএনএফ সশস্ত্র দলের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেএনএফের ৮ সদস্য নিহত হয়। সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে এ গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে খামতাং পাড়ার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ফলে নিরাপদ আশ্রয় নিতে শুক্রবার রুমা সদরে চলে আসেন তারা। বর্তমানে রুমা সদরে বম কমিউনিটি সেন্টারে আছেন খামতাংপাড়া বাসিন্দারা।
এদিকে রোয়াংছড়ি থানা থেকেও একটি উদ্ধারকারী দল বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরবর্তীতে স্পেশাল পেট্রোল দলটি গত ৬ এপ্রিল খামতাং পাড়ার যে স্থানে কেএনএফ সশস্ত্র দল এবং প্রতিপক্ষ দলের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছিল সে স্থান থেকে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত ৮টি লাশের সন্ধান পান। তবে এই প্রতিপক্ষ জেএসএস সংস্কার না ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক সূত্র তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
রোয়াংছড়ি থানা থেকে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান (ওসি, রোয়াংছড়ি থানা) এর নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশের তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা করে লাশ উদ্ধার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন: