খাগড়াছড়িতে উৎসবমুুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম

fec-image

স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাগড়াছড়িতে উৎসবমুুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। সকালে প্রতিটি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। করোনা মহামারিতে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফের বাজল ঘণ্টা। সেই সাথে শহরাঞ্চলের ঘরবন্দি শিশুরা পেয়েছে মুক্তির আনন্দ।

প্রাণচাঞ্চল্য।সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা ও প্রাথমিক শিক্ষা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনকর্মকর্তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

করোনা মহামারিতে টানা ১৭ মাস বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফের বাজল ঘণ্টা। ক্লাসে ফিরতে পেরে খুশি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সান্নিধ্য খুশি শিক্ষকরা। শহরাঞ্চলের ঘরবন্দি শিশুরা যেন পেয়েছে মুক্তির আনন্দ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করানো হচ্ছে।স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের বন্ধুদের সাথে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গেছে আর এতোদিন পর স্কুলে আসতে পেরে আনন্দের কমতি নেই শিক্ষার্থীদের। অভিভাবকদের মধ্যে উচ্ছাস থাকলেও রয়েছে কিছুটা ভয়-ভীতি।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের গিয়ে দেখা যায় অভিভাবকেরা তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে স্কুলে এসেছেন। স্কুলের ফটকে হ্যান্ড স্যানিটাইজ এবং তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

স্কুলের ফটকে একজন কর্মচারী শিক্ষার্থীদের হাত স্যানিটাইজ এবং ইনফারেড থার্মোমিটার দিয়ে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপছেন আরেক কর্মচারী। শিক্ষার্থীদের হাত স্যানিটাইজ করার দায়িত্বে রাজু জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো পালন করা হবে। এতোদিন পর শিক্ষার্থীদের সাথে বেশ ভালোই লাগছে বলে জানান রাজু।

বাবার সাথে দেড় বছর পর স্কুলে এসেছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরিনা। এতোদিন পর স্কুলে এসে খুশি সে। বাবা কদমতলীর জাকির হোসেন বলেন, এখন যা নিয়ম কানুম দেখছি তাতে ভালো লাগছে। সরকার যেভাবে বলেছে সেভাবে মেনে চললে নিরাপদ।

তবে নোটিশ দিয়ে স্কুলের সামনে অভিভাবকদের ভিড় না করার অনুরোধ জানানো হলেও বিভিন্ন স্কুল কলেজে ফটকের সামনে অভিভাবকদের জটলা করতে দেখা যায়।

অভিভাবকদের দাবি, ছোট বাচ্চাদের নিতে অভিভাবকদের আসতে হয়। এজন্য আরও নিয়ম পালন করতে হবে।

খাগড়াছড়ির মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা হেমের ইয়াসমিন জানান, সরকারের নিদ্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরিচালনা করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়িতে, শিক্ষা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন