ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে বিপাকে উখিয়ার কৃষক, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানতে পারে যেকোন সময়। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূল থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থান করছে। এটি বাংলাদেশের উপকূলে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে। এ নিয়ে উখিয়ার কৃষকের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বন্দরে এখনো চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি রয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উখিয়ার বিভিন্ন স্থান ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে ফসল রোপন করেছিল। তা ঘরে তোলার আগ মুহুর্তে ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় তা নিয়ে দুর্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।
ডিগলিয়া পালং এলাকার কৃষক আবদুল কাদের জানান, সে এবার ৩ (তিন) একর জমিতে রোপা আমন চাষ করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হবে। প্রতি একরে আড়াই থেকে ৩শ আড়ি ধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তার ধারণা। তবে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেনন, যদি এই মুহুর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেহেতু ধানে পাক ধরেছে। একই কথা গয়ালমারা এলাকার কৃষক ছৈয়দ হোসেন, ভালুকিয়া এলাকার নজির আহমদ, চাকবৈঠা এলাকার রশিদ আহমদসহ আরও অনেকের।
উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবু মাসুদ ছিদ্দিকী জানান, ৯ হাজার ৬১০ হেক্টর আবাদি জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। মাঝখানে কিছু ফসল কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত হলেও কৃষি অফিসের তৎপরতা তা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকেরা এবার ভাল ফলন ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপকুলে অবস্থানকারী স্থানীয় লোকজন, জেলেদেরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। আর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই ভাবে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।