চন্দ্রঘোনায় ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি মিলন ও স্বতন্ত্র বিপ্লব মারমা


রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার স্থগিত হওয়া ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউপির নির্বাচন আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নকে বলা হয় শিল্পনগরী, এখানে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ কাগজ কল কেপিএম পেপার মিলস্ লি. প্রতিষ্ঠিত। রয়েছে ১১৫ বছরের সেবার বাতিঘর খ্রিস্টান মিশন হাসপাতাল। সবকিছু মিলে ভোটারদের নিকট এ এলাকাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। এখানে মোট ভোটার ১০ হাজার ১৬০ জন। পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৪৮৮ জন এবং মহিলা ৪ হাজার ৬৭২ জন।
এই নির্বাচনে সরকারি দল ও স্বতন্ত্রসহ দুটিপক্ষ লড়ছেন। সরকারি দলের নৌকার মনোনীত প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন মিলন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান বিপ্লব মারমা।
নির্বাচনে দুই সেয়ানে সেয়ানে চলবে ভোট যুদ্বের লড়াই। সরকারি দলের প্রার্থী আকতার হোসেন মিলন জানান, আমি এবং আমার দল আ.লীগ চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ। আওয়ামীলীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে না আসে তাহলে আমরা কাকে নিয়ে নির্বাচন করব। নির্বাচন সুষ্ঠ হতে এবং কারচুপি না হওয়ার জন্য ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। তিনি সকল ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার আহবান জানান। সুষ্ট নির্বাচন হলে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিজয়ী হলে এলাকার পানিসহ সমাজ উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব মারমা বলেন, আমি চাই একটি আবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে যেন ভোট দিতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন চায় জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে। যেন দিনের ভোট রাতে না হয়। তিনি অভিযোগ করেন, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি আগামী ১৫ জুন ভোটের দিন আমার লোকদের প্রতিপক্ষ বাঁধা দিবে ও হামলা করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি শতভাগ আশাবাদী বিপুল ভোটে বিজয়ী হব। তিনি আরো জানান জনগণের জন্য চেয়ারম্যান থাকাকালীন সেবা দিয়েছি। নির্বাচিত হলে এলাকার প্রধান সমস্যা পানি, সড়ক, নিবন্ধন, ইউনিয়নের জনগণের ভাতাসহ সকল কাজ ও সেবা দিব।
এদিকে ১ জুন উক্ত নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ও শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য এক জরুরি সভা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির জাহান জানান, সরকার ইভিএম পদ্বতির মাধ্যমে স্বচ্ছ নির্বাচন করার দৃঢ় সংকল্প। তাই কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পার পাবেনা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার বলেন, কেউ পেশিশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে সাথে সাথে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে।
কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দন বলেন, নির্বাচনে কেউ আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।