গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহীদের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমদ। আজ সোমবার রাজধানীর মগবাজারে এলডিপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।অলি আহমদ, ‘শেখ পরিবার বা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী/এমপিরা গত ১৫ বছরে যেসকল জায়গায় বিভিন্ন নামফলক স্থাপন করেছে তা উঠানো হউক। এ ছাড়া যে সমস্ত জায়গায় সরকারি অর্থ ব্যয় করে তাদের নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে তা পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হউক। দেশের কোনো জায়গায় তাদের নামে নামফলক রাখার যৌক্তিকতাও নাই। কারণ তারা গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহী। গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহীদের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে হবে। ’তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অফিস থেকে শেখ মুজিবের ফটো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হউক। ৮ মাস শেষ হল, এখনো টাকায় শেখ মুজিবের ফটো কেন? ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম জরুরিভিত্তিতে বাদ দিয়ে জনগণের অর্থের সাশ্রয় করা হউক। মিথ্যার বেশাতে দেশের মানুষকে কলঙ্কিত করা ঠিক হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট অকাট্য দলিল প্রমাণ থাকতে হবে।’এলডিপির প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘সরকারি গাড়ির অনৈতিক ব্যবহার রোধকল্পে প্রত্যেকটি গাড়ির নেমপ্লেট লাল রং করা হউক। এতে করে জনগণের করের টাকার অপব্যবহার কমে যাবে। সরকারি/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে মোট গাড়ির সংখ্যা কত; এগুলির ব্যবহারকারী কে/কারা, তার হিসাব-নিকাশ নিতে হবে এবং এর জন্য একটি ডাটাবেইজ তৈরি করতে হবে। যে সমস্ত জায়গায় রাস্তার ওপর হাট-বাজার বসানো হয়েছে, তা সরানোর দায়িত্ব ইউএনও ও সংশ্লিষ্টদের ওপর ন্যস্ত করতে হবে। এতে করে জনগণের যাতায়াতের পথ সুগম হবে এবং সময় কম লাগবে, জ্বালানি তেলের সাশ্রয় হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘পৌরসভা/সিটি করপোরেশন এলাকার ফুটপাত/ রাস্তার ওপর বসানো অস্থায়ী দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। এদের পেছনে যারা আছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ভাগাভাগি, গুন্ডামি বন্ধ করতে হবে। টেন্ডারসহ সবকিছু অনলাইন করতে হবে।ইঞ্জিনিয়ারদের অফিসে যেন কাউকে যেতে না হয়। ওসি, ইউএনও, এসপি ও ডিসিদের জরুরি ভিত্তিতে হাসিনার দালালদের গ্রেপ্তার করার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এতে করে সমাজে ও রাস্তাঘাটে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে। ’সংবাদ সম্মেলনে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অধ্যক্ষ কে কিউ সাকলায়েন, অধ্যাপক ওমর ফারুক, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি উপস্থিত ছিলেন।