টেকনাফে ২ কেজি আইসসহ আটক ৬

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা এবং ১টি সাম্পান নৌকা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় পাচারকাজে জড়িত ৬ জন আসামীকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মিঠাপানিরছড়ার নুর হবিরের ছেলে মোঃ ফয়সাল (২০),একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ আরমান (২০), একই ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল এলাকার ওয়াস করনীর ছেলে জসিম উদ্দিন (২১) মিঠাপানিরছড়ার আব্দুল মুন্নাফের ছেলে মোঃ বুখার উদ্দীন (৩০),একই এলাকার জহির আহম্মদের ছেলে (৫) মোঃ শফিক উদ্দিন (২০) ও উখিয়া কুতুপালং ২০ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর সাত্তারের ছেলে মোঃ কামাল হোসেন(৫৫)।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সম্প্রতি টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নৌপথে নাফ নদীর মোহনা হয়ে সাগর পথে চোরাচালান এবং মানব পাচার/অবৈধ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বেশ কিছুদিন যাবত ২ বিজিবি কর্তৃক চোরাচালান প্রতিরোধ তৎপরতা এবং বিশেষ নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।

প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ সাপেক্ষে বিআরএম-৩ হতে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে নাফনদীর মোহনা দিয়ে মায়ানমার হতে মাদকের একটি চালান সাগরপথে মায়ানমার হতে ইঞ্জিন চালিত সাম্পান নৌকার সাহায্যে বাংলাদেশে আসার গতিবিধি সনাক্ত করা হয়। সন্দেহভাজন নৌকাটি শূন্য লাইন অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের মোহনা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে ২বিজিবির অধিনায়কের নেতৃত্বে একটি বিশেষদল দ্রুত জলযান ফ্যান্টমের সাহায্যে গভীর সাগরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান দলের লেঃ কমান্ডার মোঃ সাদিক রাফি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নৌযানটি পরিচালনা করে গভীর সাগরে নৌকাটি ধাওয়া করলে অভিযান দলটি মাদক পাচারকারী দলটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে নৌকাটি তল্লাশী করে নৌকার ভিতর থেকে ৬ জন আসামীসহ ২ কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং স্বল্প পরিমাণ গাঁজা পাওয়া যায়। এছাড়াও আটককৃত আসামীদের নিকট হতে ০৪টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহণের দায়ে বর্নিত নৌকাটিও আটক করা হয়। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সময়ে মায়ানমার নাগরিক, মাদকদ্রব্য এবং বাংলাদেশী পন্য সামগ্রী চোরাচালান ও মাদক পাচারের সাথে যুক্ত রয়েছে।

তিনি আরো জানান, আটককৃত আসামীদের জব্দকৃত মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোন এবং নৌকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন