দীঘিনালায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর, পাল্টাপাল্টি মামলা

fec-image

দীঘিনালা উপজেলার বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। গত শনিবার (৬ মার্চ) দীঘিনালা থানায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিক এবং ১নং মেরুং (উত্তর) ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. রহমান বাদী হয়ে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করন।

জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর সহ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিক বাদী হয়ে ১নং মেরুং ইউপি সদস্য শাহ আলম ভূইয়া সজীব (৪৫) কে প্রধান আসামী করে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে এঘটনায় অপরপক্ষের মো. রহমান (২৮) বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিক (৩৭) কে প্রধান আসামী করে আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মামলার বাদী মো. সফিক অভিযোগ করে জানান, বিদ্যালয় কমিটি গঠন রেজুলেশন পড়ে শুনানোর পর হঠাৎ করে শাহ আলম ভূইয়া সজীব ও তার দলবল নিয়ে রেজুলেশন খাতা টেনে নিয়ে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামকে মারধর করে। এসময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে।

অন্যপক্ষের মামলার বাদী ১নং মেরুং (উত্তর) ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. রহমান বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর এবং প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, উল্টো প্রতিপক্ষরাই আমার চাচা শাহ আলম ভূইয়া সজীবকে মারধর করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছে।

এব্যাপারে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষককে মারধর এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় দুই পাল্টাপাল্টী মামলা করেছেন| দুই পক্ষের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন