নতুন বিমানবন্দর হবার সম্ভাবনা রাঙামাটির কাউখালিতে
নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলাকে বিমান বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই রাঙামাটিতে যে কোন সময় গড়ে উঠতে পারে বিমান বন্দর।
এ উপজেলায় বিমান বন্দর গড়ে তোলার অন্যতম কারণ হলো- এ উপজেলার সাথে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারি, রাউজান, রাঙুনিয়া এবং পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের সাথে অক্ষুন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড’র (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম রাঙামাটিতে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে লেখা চিঠিতে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেছেন- তিন পার্বত্য জেলায় কোনো বিমানবন্দর না থাকায় তাদের চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করতে হয়, যা খুবই কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ।
তাছাড়া পার্বত্য জেলাগুলোতে রেলপথ নির্মাণ সম্ভব নয়, নৌ-পথের সুযোগও সীমিত। শুধু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো অঞ্চলের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অভিযাত্রায় সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হলে পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
পর্যটন পরিকল্পনার লক্ষ্য হোক সাজেক থেকে সেন্টমার্টিন
এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা গত ৮ জানুয়ারি বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলামের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে রাঙামাটিতে বিমানবন্দর গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
চিঠিতে নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের একটি প্রধান শর্ত। তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখানে কোনো রেলপথ ও বিমানবন্দর নেই। নৌ-পথেও অন্য জেলার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা নেই।
এ অবস্থায় তিন পার্বত্য জেলার মধ্যবর্তী কোনো স্থানে ছোট একটি বিমানবন্দর নির্মিত হলে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় প্রস্তাবিত এ বিমানবন্দর হতে পারে উল্লেখ করে নব বিক্রম বলেছেন- কাউখালীতে বিমানবন্দরটি হলে অন্য দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার রাউজান, হাটহাজারী, রাঙুনিয়া ও ফটিকছড়ির অধিবাসীরা সুবিধা পাবে। এতে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
দুই জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বিমানবন্দর থাকা সত্ত্বেও রাঙামাটিতে আরও একটি বিমানবন্দর হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন- তিন কোটি জনসংখ্যার দেশ নেপালের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় সমান। দেশটির অভ্যন্তরে বিমান চলাচলের জন্য ৪৩টি বিমানবন্দর রয়েছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও দেশে সচল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে রাজশাহী, যশোর, সৈয়দপুর ও বরিশালে। এর বাইরে কুমিল্লা, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার ও নোয়াখালীতে স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এসব বন্দরে বিমান কেবল উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারে।
এছাড়া চট্টগ্রামের সন্ধীপ, কক্সবাজারের চকরিয়া, ফেনী, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর, চট্টগ্রামের রসুলপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলের পাহাড় কাঞ্চনপুর, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও পটুয়াখালীতে অব্যবহৃত বিমানবন্দর রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।