পানছড়িতে পাহাড়ের চূড়ায় পরীক্ষামূলক বারোমাসি তরমুজ চাষ
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ৫নং উল্টাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির অবস্থান সমতল থেকে প্রায় চল্লিশ ফুট উঁচুতে। ভবনের পাশেই রয়েছে করিমের একটি পতিত টিলা। পাহাড়ের চূড়ার পতিত সেই টিলায় বারোমাসি তরমুজ চাষ করেছে দুই কৃষক। ফলন ভালো হয়েছে তাই দেখছেন আশার আলো।
জানা যায়, জিয়ানগর গ্রামের প্রয়াত মাহতাব উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম পেশায় একজন বুট-বাদাম বিক্রেতা। প্রতিদিন বিকেলে পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কে তিনি ব্যস্ত থাকেন বুট আর বাদাম বেচাকেনায়। নুরু ও ছাদেক আলীর ছেলে মোস্তফা মিলে তিন মাস আগে ষাট শতক পতিত জায়গায় আবাদ করেন তরমুজের বীজ। তিন মাসেই এখন পাহাড়ের চূড়ায় শোভা পাচ্ছে বড় সাইজের চার শতাধিক তরমুজ। যার মাঝে ছয় থেকে আট কেজি ওজনের রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক তরমুজ। বাকিগুলো তিন থেকে পাঁচ কেজি। নুরু ও তার সহধর্মিনী মিলেই বেশিরভাগ সময় পরিচর্যা করে থাকেন। বাগানের মাঝ বরাবর একটি টং ঘরে দিন-রাত অবস্থান করেই পরিচর্চা ও পাহারার কাজ সারেন।
কৃষক নুরু জানান, প্রতিটি তরমুজের নিচে বাঁশের কঞ্চি দেয়া রয়েছে যাতে পোকায় আক্রমণ করতে না পারে। তবে সঠিক বীজ পাননি বলে সাইজে ছোট-বড় হয়েছে। পরীক্ষামূলক প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন। লাভবান হবে বলে আশা করছেন। তবে সামনের বারের জন্য কাজটা সহজ হয়েছে। এবারে লক্ষাধিক টাকার মতো পুঁজি খাটিয়েছেন। বিক্রির পরে বলতে পারবেন লাভ কতো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তরমুজ বাজারজাত করা হবে বলে জানালেন তিনি।
পানছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ইব্রাহিম খলিল জানান, তরমুজ একটি স্বল্পকালীন ফসল। আশি থেকে একশো দশ দিনের মাঝেই ফল সংগ্রহ করা যায়। তরমুজ গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে কাক্ষিত ফল পেতে হলে একটি গাছে সর্বোচ্চ তিন থেকে চারটি ফল রাখাই উত্তম। বর্তমান সময়ে বাজারে তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে আশা করি পানছড়ির কৃষক নুরু লাভবান হবেন।