পানছড়িতে শীতের পিঠার বাহারি আমেজ

fec-image

শীতের মৌসুমে পানছড়ির বিভিন্ন অলি-গলিতে জমে উঠে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহারি পিঠাপুলির দোকান।

পড়ন্ত বিকালের শুরুতেই গাছে গাছে খেজুরের রস সংগ্রহের আশায় এগাছ ওগাছ চষে বেড়ায় রস চাষিরা। আবার সকালে রসের হাঁড়ি নামাতেই মো মো গন্ধে চারিদিক হয়ে উঠে মুখরিত। এই রস মিশ্রিত বিভিন্ন পিঠাও শোভা পাচ্ছে রাস্তার দু’ধারের পিঠা পুলির দোকানে।

শীতে সাধারণত ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, পাটি সাপটা, চিতই জাতের পিঠাই বেশী তৈরী হয়। কিন্তু এ পিঠাগুলো পার্বত্য খাগড়াছড়ির পানছড়িতে অন্য স্বাদে অন্য নামে পরিচিত।

বিশেষ করে মারমা পিঠার রয়েছে আলাদা পরিচিতি। বাজারে ভাপা পিঠা ও চিতই জাতের পিঠা দেখা গেলেও মারমা পিঠার দোকানে লেগে থাকে উপচে পড়া ভীড়।পিঠাকে মারমা ভাষায় বলে “মুং”। আর মারমা পিঠার সেরার মাঝে রয়েছে ছেসবং মুং, রিফ্রি মুং, ছিল মুং, কোদও মুং, কদ মুং, ইত্যাদি।

আমন ধানের গুড়ির পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন চাউলের পিঠার চাহিদা অত্র এলাকার মানুষের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে বিন্নি চাউলের তৈরী মারমা পিঠার জুড়ি নেই। এই মারমা পিঠা তৈরীর মুল কারিগর মারমা গৃহিনীরা।

বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও রাস্তার পাশে ছোট গর্ত করে দু’পাশে দুটি ইট দিয়ে বা টিনের বাক্সের তৈরী চুলোয় মুহুর্তের মাঝে তৈরী হচ্ছে মারমা পিঠা। গরম গরম পিঠা হালকা ফু’ দিয়ে খাওয়ার মজাটাই যেন আলাদা।

শীতের বিদায়লগ্ন পর্যন্ত সকাল-বিকাল দু’বেলাই জমে উঠে পিঠা ধুম। এই পিঠার দোকানে ধনী-গরীবের নেই কোন পার্থক্য নেই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অর্ডার করা মাত্রই হাতে তুলে দিচ্ছে মারমা পিঠা। অনেক ভ্রমন পিপাসুরাও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে স্বাদ নিচ্ছে মারমা ও দেশীয় পিঠার। গরম পিঠায় ফু’দিচ্ছে আর বলছে আহ্ কিযে মজা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খেজুরের রস, ভাপা পিঠা, শীতের মৌসুম
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন