পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় দুই নারী সংগঠনের প্রতিবাদ

বান্দরবানের লামায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ ও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় এক পাহাড়ি গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দুই নারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে অবিলম্বে লামায় ধর্ষণ ঘটনায় জড়িত ও মাটিরাঙ্গায় ধর্ষণ চেষ্টাকারীকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বাংলাদেশের একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ হলো অভিযুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে অবহেলা এবং সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া। যার কারণে দিন দিন এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে বৈ কমছে না।
পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী ধর্ষণের ঘটনা জাতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে নারী নেতৃদ্বয় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীরা সবসময় ভয়, আতঙ্ক ও অনিরাপদে জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। বিচারহীনতার ফলে আজ পাহাড়ি নারীরা ঘরে বাইরে অনিরাপদ ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
উল্লেখ, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ফাঁসিয়াখালীর ইউনিয়নে এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ এবং একই দিন রাত সাড়ে ৭টায় খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের আরেক পাহাড়ি গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন।