পেকুয়ায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামেনি

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং এ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যত্রতত্র ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

২৫ আগস্ট সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টইটং ইউনিয়নের রমিজ পাড়া ঢালার মুখ এলাকায় যত্রতত্র ড্রেজার মেশিনে বসিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক নিয়ে বালু উত্তোলন করছে টইটং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য নবী হোসাইনের নেতৃত্বে তার পুত্র খোকন ও একই এলাকার শফিউল আলম সোনাইছড়ি ছড়া থেকে এ বালুগুলো উত্তোলন করে আসছে।

সম্প্রতি লকডাউনের কারণে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হরহামেশা বালু উত্তোলন করেই চলছে। এতে করে ঐ এলাকার অবকাঠামো তথা চলাচল রাস্তা দেবে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্ত। ভাংঙ্গা এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল একেবারেই অনুপযোগী এমনকি পায়ে হেটে যাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। গর্ভবতি কিংবা অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। তাদের এহেন জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের লাগাম টেনে ধরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নয়তো রমিজ পাড়ার লোকজনদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। অন্যদিকে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

গত বছর ডিসেম্বরে উপজেলা প্রশাসন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ করে দেওয়া হয় টইটং-বারবাকিয়ায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বালুর মহালগুলো। এসময় বালি উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বালু উত্তোলনের মেশিন, জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ বালি।

এ প্রসঙ্গে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত খোকন বলেন, আমার বাড়ির পাশে ছড়ার বালু আমি উত্তোলন করব, অবৈধ হোক বা বৈধ হোক আমার কিছু যায় আসেনা, আমি বালি উত্তোলন করব।

‌এ প্রসঙ্গে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহাব উদ্দিন জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। এখন যদি উত্তোলন করে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।

এ প্রসঙ্গে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোল্লা আবদুল গফুর বলেন, অবৈধ উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে গত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় বন্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু সম্প্রতি লকডাউনের কারণে অভিযান সাময়িক বন্ধের সুযোগে তারা ফের বালু উত্তোলন শুরু করেছে। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ফের অভিযান শুরু করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন