পৌয়ামুহুরী সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলি   ‎ ‎

fec-image

‎বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ৪ নং কুরুকপাতা ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হটাওমগ পাড়া এলাকায় আরকান আর্মি ও আরসা- আরএসওর মধ্যে মর্টারশেল,ড্রোন হামলা এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।

‎বৃহস্পতিবার ( ৯ অক্টোবর) সকাল থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। মর্টার শেল,ড্রোন হামলা, প্রায় ২ হাজার রাউন্ড এর কাছাকাছি ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারের শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী স্থানীয় বাসিন্দা ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

‎সীমান্তবর্তী ম্রো বাসিন্দারা মিয়ানমারে থাকা তাদের আত্মীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সীমান্ত পিলার ৫৫ ও ৫৬ এলাকায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে টানা গোলাগুলি শুরু হয়। আরসা ও আরএসও যৌথভাবে হটাওমগ পাড়া নাম স্হানে হামলা চালালে আরকান আর্মির কয়েকজন সদস্য নিহত হন। তবে এই এলাকা এখনও দখল নিতে পারেনি বলে জানা গেছে।

‎স্থানীয় মেনপয় ম্রো জানান,আরকান আর্মিকে হটাতে আরসা-আরএসওর সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু ম্রো সম্প্রদায়ের লোকজন সহযোগিতা করছে।

‎কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, সীমান্তের ওপারে এখনো আরকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ বজায় আছে। তবে আরসা, আরএসও এবং স্থানীয় কিছু গোষ্ঠী মিলে যুদ্ধ চালাচ্ছে। এ সংঘর্ষের কারণে সীমান্তবর্তী অনেক ম্রো সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কে রয়েছে।

‎রামু ব্যাটালিয়নের (৩০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ জানান, সীমান্ত পিলার ৫৫ ও ৫৬ এর মাঝামাঝি জিরো পয়েন্ট থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হটাওমগ পাড়া নামক এলাকায় মর্টার শেল,ড্রোন হামলা, গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে পোয়ামুহুরী বিওপিসহ সকল বিওপি সমূহকে অধিকতর সতর্কতা ও নিরাপত্তা অবলম্বন পূর্বক দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যেন যে কোন ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো ঘটনা প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন