বাঘাইছড়ির দুর্গম নিউথাংনাকপাড়ায় মাথায় নিয়ে পৌঁছালো ত্রাণ


ঝড়-বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম নিউথাংনাক পাড়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় তিন দিন পায়ে হেঁটে পৌছানো হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের সরকারি সহায়তা।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা সদর থেকে উত্তরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী এই গ্রামে ৩০টি ত্রিপুরা পরিবারের বাস।
সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যবস্থা না থাকায় একেবারে প্রকৃতির উপর নির্ভর করতে হয়। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় মূল ভূখণ্ড থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন এসব এলাকায় কখনোই পৌছায় না সরকারি কোনো সহায়তা।
গত ২৯ মে ঝড়ে ২০টি পরিবারের বসতঘর উড়ে যায় এবং বজ্রপাতে নলেনটি ত্রিপরা নামে দুই সন্তানের জননী বিধবা নারী মারাত্মকভাবে আহত হন, বজ্রপাতে তার পিট ও বুকের একপাশে ঝলসে যায়।
এই খবর স্যাটেলাইট টিভিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে বিজিবি আহত নারীর চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসে। এরপর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হলে উক্ত গ্রামের ২০টি পরিবারের জন্য ১ টন চাউল, ২০ প্যাকেট শুকনো খাবার (প্রতিটি ২০ কেজি) ৫০টি কম্বল সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার।
প্রথমে পিক-আপে করে সড়ক পথে মাচালং ৯ নম্বর পাড়া পাঠানো হয়। পরে স্থানীয় ৫ জন প্রোটার মাথায় করে ৩ দিন পায়ে হেটে দুর্গম নিউথাংনাক পাড়ায় পাঠানো হয়েছে। এসব সহায়তা পেয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।