বান্দরবানে কেএনএ’র নি/হত সন্ত্রাসীদের পরিচয় সনাক্ত


বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি কেএনএ নামের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলিতে নি/হত কেএনএ সন্ত্রাসীদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে রুমা থানার পুলিশ।
রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জানান, কেএনএ’র নি/হত কমান্ডারের নাম সাংমিন বম (২৭)। সে পুতিন নামেও পরিচিত ছিল। পুতিনের বাড়ি পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়ায়। কেএনএ’র কমান্ডার হিসেবে কালেক্টর পদে দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন। অপরজন সৈনিক লাল হিম সাং বম (২৫)। সে আহিম নামেও পরিচিত ছিল। তার বাড়িও একই ইউনিয়নের মুননোয়াম পাড়া। এছাড়া অভিযানকালে কেএনএ ১ জন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়। আটক লালসাং পাস্সান বমকে রুমা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানান, গতকাল রাত দশটার দিকে নি/হত কেএনএ দুইজন মরদেহ রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ময়নাতদন্তে জন্য আনা হয়। প্রায় রাত ১১টার দিকে ময়নাতদন্তের শেষে বিভিন্ন স্থান থেকে খোঁজ খবর নিয়ে নি/হতদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। রাতে নি/হতদের মরদেহ থানায় নিয়ে এসে আজ সকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আর নি/হতদের আত্বীয় স্বজনকে ম/রদেহ সংগ্রহ করার জন্য বলে হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএর (কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি) বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে সংগঠনটির দুজন সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত থেকে পরিচালিত অভিযানে ৩ জুলাই ভোরে কেএনএফের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে কেএনএফের একজন ‘মেজর’ পদবীর কমান্ডার নি/হত হয়েছেন। অভিযানে ৩টি অত্যাধুনিক এসএমজি, ১টি চায়নিজ রাইফেল, ৩৬৪টি গুলিসহ বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।