ভারতীয় কালাদান মাল্টিমোডাল প্রকল্প পুণরায় শীঘ্রই শুরু হতে পারে
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে বছরের পর বছর আটকে থাকা ভারতের ড্রিম প্রজেক্ট কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট প্রজেক্ট পুণরায় শুরু হতে যাচ্ছে। ভারতের কোলকাতা বন্দরের সাথে মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের মাধ্যমে মিজোরামের সাথে যোগাযোগের জন্য বিলিয়ন ডলারের এই প্রজেক্ট ভারতের ড্রিম প্রজেক্ট হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ প্রজেক্টে অচলাবস্থা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। সম্প্রতি মিয়ানমারে আধিপত্য বিস্তারকারী আরাকান আর্মির সাথে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বহুমুখী কার্যকর যোগাযোগ ও সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর এই প্রকল্প আবার শুরু হওয়ার ব্যাপারে ভারত প্রবল আশাবাদী হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে ভারতীয় দ্যা উইক পত্রিকায় আসামের সিনিয়র সাংবাদিক রাজিব ভট্টাচারিয়া একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছেন। এতে তিনি লিখেছেন,
মিজোরাম সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম মায়ানমারের একটি শহর পালেতোয়ার সাথে খুব বেশি ভারতীয় পরিচিত নয়। মায়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধে পালেতোয়ায় মিয়ানমার আর্মি ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হয়েছিল। আরাকান আর্মি আড়াই মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ চিন রাজ্যে একটি প্রকৃত স্বাধীন অঞ্চলের মতো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এই বছরের শুরুতে, তারা জান্তা ঘাঁটি এবং কমান্ড সেন্টার দখল করে রাখাইনের প্রতিবেশী চিন রাজ্যে অবস্থিত পালেতওয়া দখল করে।
ভারতের জন্য, পালেতাওয়া দখল একটি বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, কারণ কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (কেএমটিটিপি)-র জন্য পালেতওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ উদ্যোগ যার লক্ষ্য ভারতের ল্যান্ড-লকড উত্তর-পূর্বকে দেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করা এবং চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
গৃহযুদ্ধের কারণে প্রকল্পটি কয়েক বছর ধরে আটকে ছিল। কিন্তু এখন আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে যে, এটি শীঘ্রই আবার শুরু করা সম্ভব হবে। কারণ ভারত একই সাথে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান সেনাবাহিনীকে এর গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট বা কেএমটিটিপি প্রকল্পটি কলকাতা বন্দরকে বঙ্গোপসাগর হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের সিটুয়ে বন্দরের সাথে সংযুক্ত করবে। সেখান থেকে একটি অভ্যন্তরীণ নৌপথে সিটুয়েকে পালেতোয়ার সাথে সংযুক্ত করবে এবং পালেতোয়া থেকে একটি রাস্তা মিজোরামের জোরিনপুই পর্যন্ত প্রসারিত হয়ে মিজোরামকে সংযুক্ত করবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, যদিও প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। যেমন, সিটওয়ে বন্দর নির্মাণ, পালেতোয়াতে একটি নৌ টার্মিনাল, এবং কালাদান নদীতে ১৫৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করা। তবে পালেতোয়া-জোরিনপুই হাইওয়ে নির্মাণের কাজটি এখনো নির্মিত হয়নি।
মিয়ানমারের সরকার অনুমোদিত একটি সহ মিয়ানমারের মোট পাঁচটি সংস্থা একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে ১০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটি নির্মাণের জন্য। এই কনসোর্টিয়ামটি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেটি প্রায় দুই বছর আগে ভারত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। সাংবাদিক রাজিব ভট্টাচারিয়া জোরিনপুই সীমান্তের কাছে অবস্থিত মায়ানমারের এই কনসোর্টিয়ামের একটি অফিসে পরিদর্শনের সময় কয়েকজন কর্মচারী এবং যানবাহন ও বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী দেখতে পান। প্রকল্পের সাথে যুক্ত একজন মিয়ানমারের নাগরিক প্রতিবেদককে বলেছেন, বর্ষা মৌসুম শেষে দুই লেনের এই মহাসড়কের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মহাসড়কটি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত জঙ্গল ও জনমানবহীন ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১০ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রকল্পের সমাপ্তির জন্য বেশ কয়েকটি নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেছে। ভারত এবং মিয়ানমার ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম এই প্রকল্পের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল যার লক্ষ্য ভারতের পূর্বের বন্দরগুলি থেকে পণ্যবাহী পরিবহনের জন্য একটি মাল্টি-মডেল পরিবহন রুট তৈরি করা যা ভারত থেকে মিয়ানমারের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এরপর ২০১৫ সালে ভারত সরকার আনুমানিক প্রায় ২৯০০ কোটি রুপির সংশোধিত ব্যয় অনুমোদন করে। ৩ নভেম্বর, ২০১৯ এ পাঁচজন ভারতীয় নাগরিক এবং মিয়ানমারের একজন আইনপ্রণেতাসহ ১০ জনকে দুটি নৌকায় করে রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া থেকে কিয়াউকতাওয়ে যাওয়ার পথে আরাকান আর্মি অপহরণ করে। এর প্রায় পাঁচ মাস পরে পুরো দলকে তারা মুক্তি দেয়। তবে তার আগেই একজন ভারতীয় শ্রমিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ভারতীয় অপহৃতদের মধ্যে দুজন ইঞ্জিনিয়ার্স প্রজেক্টস ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ইপিআইএল) কর্মচারী ছিলেন, যেটিকে প্রাথমিকভাবে সিএন্ডসি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের সাথে জোরিনপুই এবং পালেতোয়ার মধ্যে হাইওয়ে নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। যদিও ইপিআইএল একটি সরকারী মালিকানাধীন সংস্থা এবং সি এন্ড সি হল একটি গুরুগ্রাম-ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা।
আরাকান আর্মি এবং মায়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে, ভারত ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইপিআইএল এবং সি এন্ড সি এর সাথে চুক্তি বাতিল করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল মিয়ানমারের অনিশ্চিত পরিস্থিতি। ভারত পরে আইআরসিওএন কে বেছে নেয়, যার বিদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ভারতীয় শ্রমিকদের অপহরণ এবং ভারত কর্তৃক চুক্তি বাতিল প্রকল্পটির টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ভারত বুঝতে পেরেছিল যে, আরাকান সেনাবাহিনীর সহায়তা ছাড়া প্রকল্পটি সম্পন্ন করা যাবে না। পরবর্তীকালে, একটি সমাধান বের করার জন্য আরাকান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরাকান আর্মি ভারতকে বারবার আশ্বস্ত করেছে যে, তারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে নয়, তারা কেবলমাত্র স্থানীয় জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। দক্ষিণ চিন রাজ্যটি মিয়ানমারের সবচেয়ে অবহেলিত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। বর্তমানে, জোরিনপুই থেকে পালেতোয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র নদীপথেই ভ্রমণ করা সম্ভব। কালাদান প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলে হাইওয়ে সড়কপথে পণ্য ও মানুষের দ্রুত চলাচল সম্ভব হবে বলে আরাকান সেনাবাহিনীর একজন মধ্যম পর্যায়ের এক পদস্থ কর্মকর্তার অভিমত।
আরাকান আর্মির কমান্ডার-ইন-চিফ টুং ম্রাট নাইং সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে বলেছেন যে, কালাদান প্রকল্পের সময়োপযোগী এবং নিরাপদ বাস্তবায়নের জন্য পালেতোয়াকে সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার মতে, এই প্রকল্পের ফলে কেবল স্থানীয় জনগণই নয়, ভারত, আরাকান এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারগণও উপকৃত হবে।
ভারত সরকারের সূত্রের মতে, আরাকান আর্মির সাথে বৈঠকে সমঝোতা হয়েছে যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আইআরসিওএন মিয়ানমার ভিত্তিক কোম্পানীগুলোর সাথে মিলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এই সাব-কন্ট্রাক্টররা এ প্রকল্পে আরাকান আর্মিকে আস্থা অর্জনে অবদান রাখবে এবং পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয়ভাবে লজিস্টিকস সরবরাহ করবে।
এহেন অগ্রগতি সত্ত্বেও, প্রকল্পটি এখনও জান্তার বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার হুমকির সম্মুখীন। আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলি সহ দেশের প্রায় সমস্ত প্রতিরোধের হটস্পট সামরিক বাহিনী দ্বারা নির্বিচারে বোমা হামলার শিকার হয়েছে। পালেতোয়া থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কিউকতাও এ ধরণের এক সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। যেসব কারণে নয়াদিল্লি এখনো জান্তাকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তার একটি হল, কালাদান প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
শহর থেকে নৌকায় চড়ে পালেতোয়া নৌ জেটিতে পৌঁছানোর সময় কালাদান নদীর বিপরীত তীরে একটি বড় সাইনবোর্ড মি. রাজীবের নজর কেড়েছিল। ভারত ও মায়ানমারের পতাকা সহ উক্ত সাইনবোর্ডে লেখা ছিল “ভারত-মিয়ানমার ফ্রেন্ডশিপ প্রজেক্ট”।
জেটিটি এতোই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল যে তা সিটুয়ে থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কার্গো পরিচালনা করতে অক্ষম। প্রবল বর্ষণে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এটি আংশিকভাবে তলিয়ে যায়। অফিসের কম্পাউন্ডে প্রায় ১৫টি বড় এবং ছোট অব্যবহৃত যানবাহন ছিল, এর প্রথম তলায় চেয়ার, টেবিল, কয়েকটি কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট দিয়ে সজ্জিত ছিল। অসম্পূর্ণ হাইওয়েটি পূর্ব দিকের কম্পাউন্ডের দিকে প্রসারিত দেখা যায়।
নিচতলার বারান্দায় বসে থাকা দুই কর্মচারী অফিসের সংস্কারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, তা জানতেন না। “অশান্ত পরিস্থিতির কারণে এখানে সবকিছুই অনিশ্চিত। তবে আমাদের বলা হয়েছে যে বর্ষাকাল শেষ হওয়ার পরে কিছু উন্নয়ন হতে পারে,” স্থানীয় আরাকানি ভাষায় তাদের একজন বলেছেন। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অফ আরাকান (ইউএলএ) এর একজন কর্মকর্তা অনুবাদ করে তাদের কথা প্রতিবেদককে শোনায়। জোরিনপুই হাইওয়ে নির্মাণের সমস্ত সম্ভাবনা ও নিরাপত্তা মিজোরাম থেকে পাওয়া জ্বালানি সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদানের সহজলভ্যতার উপর নির্ভর করে।
মিজোরামের লংটলাই জেলা সদরের সাথে জোরিনপুইকে সংযুক্তকারী হাইওয়েটি ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। মহাসড়কের একটি বড় অংশ ছয় বছর আগে সম্পন্ন হয়েছিল, কিন্তু জমির মালিকরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করার পরে বাকি অংশ আইনি বাধার সম্মুখীন হয়। সমস্যাটি এখনও সমাধান করা হয়নি। একজন কর্মকর্তা জানান, কিছু এলাকায় জমির মালিকদের দাবি ভূমি রাজস্ব বিভাগের এখতিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে। উক্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, “আমরা আইজলে সমস্ত নথি পাঠিয়েছি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সরকারের উপর নির্ভর করে”।
লংটলাই থেকে জোরিনপুই পৌঁছতে রাজীবের চার ঘণ্টা লেগেছিল। এবড়ো থেবড়ো এবং খানাখন্দকে ভরা এই কালাদান হাইওয়ে। ৬ জুলাই তার ফিরতি যাত্রার সময়, মহাসড়কটি অবরুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়, কারণ ভারী বর্ষণে ২৫০ মিটার রাস্তা ভেসে গেছে।
লংটলাই থেকে আইজল পর্যন্ত ২৩০ কিলোমিটার হাইওয়ে যার মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ৫৪ কিমি.। সংকীর্ণ এই পথ দিয়ে মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্য বাড়লে এই সড়ক তা পরিচালনা করতে সক্ষম হবে এমন সম্ভাবনা নেই। মহাসড়কটি প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে সরকার সূত্রের দাবি। কিছু স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ঠিকাদারি দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সূত্র দাবি করেছে, মহাসড়কের কিছু বিরোধ ছিল যা ‘আদালতে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
এই প্রকল্পের অন্যতম পরিকল্পনা হল প্রায় আইজল থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ আসামের শিলচরের সাথে আইজলকে সংযুক্ত করার, যা গুজরাটের পোরবন্দর পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম করিডোরের সূচনা পয়েন্ট। নিঃসন্দেহে, এটি প্রকল্পের জন্য একটি দীর্ঘ পথ, যা মিয়ানমার এবং মিজোরামের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত এটি সম্পন্ন হতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।