মরণফাঁদের উপর দিয়েই পানছড়ির কোমলমতি শিশুদের পারাপার

fec-image

পানছড়ি মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া নিদি চাকমা, চতুর্থ শ্রেণির নিঝুম চাকমা, দ্বিতীয় শ্রেণির এলসা চাকমাসহ কয়েক কোমলমতি শিক্ষার্থীর বাস উপজেলার ৪নং লতিবান ইউপির নবীন চন্দ্র পাড়ায়। তিনটি-চারটি বাঁশের উপর দিয়েই তাদের নিয়মিত পারাপার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মরণফাঁদের উপর দিয়ে কোন রকম পার হলেই মনের মাঝে যেন স্বস্তির নি:শ্বাস।

নিদি চাকমা জানায়, বাঁশের উপর দিয়ে পার হতে অনেক ভয় লাগে। বর্ষা মৌসুমে কয়েকবার পা পিছলে নিচে পড়ে ব্যাথাও পেয়েছে এবং চিৎকার শুনে স্বজনরা এসে উদ্ধার করেছে। পানছড়ির আইডল বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জয়ী বিনোতী চাকমাও আপনালয়ে ফিরে বাঁশের উপর দিয়ে। বিনোতী ২০১৬ সালে স্বর্ণজয়ের পাশাপাশি ২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালেও জয় করেছিল রৌপ্য। তার দাবি প্রশাসন যেন একটু নজর দেয়।

ভুক্তভোগী বয়োবৃদ্ধ পূর্ণ বিকাশ চাকমা, কুহেলিকা চাকমা জানায়, বছরের পর বছর তিন-চারটি বাঁশের উপর দিয়েই প্রায় চল্লিশ জনের অধিক লোকের নিত্য চলাচল। এখানে প্রায় বিশের অধিক রয়েছে বিদ্যালয়গামী শিশু শিক্ষার্থী। বয়োবৃদ্ধ পূর্ণ বিকাশ একবার পা পিছলে নিচে পড়ে আহত হয়ে দীর্ঘদিন কোমর ব্যাথায় ভোগার কথা জানান।

তাছাড়া দুইমাস পর পর মেরামত করলেও বর্ষা মৌসুমে পুরোটাই ঝুকিপুর্ণ। শিশু শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধদের দাবি বাড়ির প্রবেশ পথটি বাঁশের উপর ভরসা করে আর কত বছর। সন্ধ্যার পর পার হওয়া মানেই শতভাগ জীবনের ঝুঁকি। তাছাড়া মুমুর্ষ রোগী বহনের মতো কোন পরিবেশ নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুপেন বিকাশ চাকমা জানান, কোমলমতিদের মানবেতর পারাপারের দৃশ্যটি আমার নিজ চোখের দেখা। চেয়ারম্যানের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে সমস্যাটি সমাধানের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে দেখা হবে। এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা চায় ভুক্তভোগীরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন