মহেশখালীর ১২টি মহিষ চুরি, চকরিয়া থেকে ৩টি উদ্ধার

fec-image

মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে জেলার একটি চক্র মহিষ চুরি করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। মূলত কুতুবজুম এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মহিষ গুলি সোনাদিয়া চরে থাকে খামারী হিসাবে।

চকরিয়া ও সোনাদিয়া ভিত্তিক একটি চক্র রাতের আধারে সাধারণ মানুষের এসব গৃহপালিত মহিষ গুলি ট্রলারে করে দ্বীপ থেকে চুরি করে অল্প দামে বিক্রি করে বিভিন্ন বাজারে। এদিকে এই চক্রটির বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে মহিষের মালিক এনামুল হক।

এই মামলার সূত্র ধরে মহেশখালী থানা পুলিশের অভিযানে গতকাল ভোর রাতে চকরিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৩টি মহিষ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মহিষের মালিক উপজেলার কুতুবজোম তাজিয়াকাটা এলাকার মৃত দুদু মিয়ার পুত্র এনামুল হক।

বাদী জানায়, গত ৪ জুন রাতে তার খামার এলাকা থেকে চোরের দল ৪টি মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে ওই মহিষ গুলোর মধ্যে ৩টি মহিষ সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালীর বিভিন্ন লোকদের তথ্য ভিত্তিতে শনাক্ত করে চকরিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকার নবী হোসেনের বাড়িতে তল্লাসী চালায়।

তবে ওই অভিযানে ব্যর্থ হয়ে পুনরায় মহেষখালী থানায় একটি অভিযাগ দায়ের করে । এসময় মহেশখালী থানা পুলিশ জেলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় চকরিয়া থানাকে সাথে নিয়ে রাতে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ ওই সময় নবী হোসের বাড়ির একটু দূরে এক বাড়ির আঙ্গিনায় গাছে সাথে বেঁধেরাখা অবস্থায় ৩টি মহিষ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এর আগেও স্থানীয় লোকজন সাহারবিল এলাকার সাবেক মেম্বার রহিম ও ঘের মালিক ভূট্টোর ১২টি মহিষ উদ্ধার করে চোরের দলের কাছ থেকে। স্থানীয় লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট জেলা ও জেলার বাহির থেকে সাধারণ মানুষের গরু-মহিষ ও ছাগল চুরি করে আসছে। এ ধরণের চুরি অব্যহত থাকার কারণে এলাকার অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে। স্থানীয়রা আরো জানায়, চোরের দল এ চুরি কাজে ছোট ছোট কিশোরকেও অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করছে।

অপর দিকে কুতুবজুম তাজিয়াকাটার এলাকার ৭টি মহিষ গত ২৩ মে সোনাদিয়া চর থেকে চক্রটি নিয়ে গেলে ভুক্তভোগিরা মহেশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এলাকার লোকজন এ ব্যাপারে চোরের মূল হোতাকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন