রামুতে করোনামুক্ত হয়ে বাবা-মেয়ের ঈদ আনন্দে বাড়ি ফেরা!

fec-image

কক্সবাজারের রামুতে করোনা আক্রান্ত বাবা-মেয়েকে ঈদের দিনেও থাকতে হয়েছে হাসপাতালে। করোনা আক্রান্ত হয়ে পবিত্র ঈদুল আযহার ২দিন আগে রামু আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হন সৌদি প্রবাসী মীর কাশেম (৪৮)। রিপোর্ট পজেটিভ হলে ঈদুল আযহার দিন ভর্তি হন তাঁর মেয়ে কাশফিয়া (১১)।

সম্প্রতি চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সুস্থ হয়ে উঠেন তারা। বুধবার (১২ আগস্ট) বেলা ১২ টায় হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় করোনামুক্ত বাবা-মেয়েকে অভিনন্দন জানান হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারিরা। উৎফুল্ল বাবা-মেয়ে জানান- এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারাটা তাদের কাছে ঈদের মতোই আনন্দের।

এসময় বাবা-মেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সুস্থ হওয়া মীর কাশেম রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের ফরেষ্ট অফিস উত্তর ঘোনার পাড়া এলাকার আবুল হোছনের ছেলে।

মীর কাশেম জানান- তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ জুন রামু আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হন। পরে পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হন তার ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে কাশফিয়া।

পবিত্র ঈদুল আযহার দিন সেখানে ভর্তি হন মেয়েও। অসুস্থতার কারণে চরম আতংক নিয়ে বাবা-মেয়ে এখানে চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। কিন্তু চিকিৎসকদের আন্তরিকতা এবং হাসপাতালের সুন্দর ব্যবস্থপনায় তারা ক্রমেই সুস্থ হতে থাকেন।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) তাদের দুজনেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে চিকিৎসকরা ১২ আগস্ট তাদের সুস্থ ঘোষনা করে ছাড়পত্র দেন।

করোনামুক্ত মীর কাশেম মেয়েসহ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়ে বলেন-সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের প্রচেষ্টায় এ হাসপাতাল রামুবাসী সহজে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে।

এছাড়াও তিনি করোনা যোদ্ধা রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া, আইসোলেশন সেন্টারের চিকিৎসক ডা. রিপন চৌধুরী, ডা. মানিকুল ইসলাম, হাসপাতালের সকল নার্স-ওয়ার্ড বয় ও কর্মচারি, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাঁর পরিবারের পাশে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান কলেজের অধ্যাপক প্রসেনজিত বড়ুয়া এবং সাইদুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

রামু আইসোলেশন সেন্টারের চিকিৎসক ডা. রিপন চৌধুরী জানিয়েছেন-করোনা আক্রান্ত বাবা মীর কাশেম ও মেয়ে কাশফিয়া সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুধবার তাদের ছাড়পত্র দেয়। তাদেরকে আরো কয়েকদিন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাবা-মেয়ে সুস্থ হওয়ায় চিকিৎসক হিসেবে তিনি আনন্দিত।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন