রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়েছে ২ শতাধিক ঘর

fec-image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট। অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শনিবার (১ জুন) দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পটির ডি-৩ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও পুড়ে গেছে ক্যাম্পের ২ শতাধিক ঘর।

৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক মো. আমির জাফর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

স্থানীয়দের বরাতে আমির জাফর বলেন, দুপুরে ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠালতলী বাজারে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন কাঁঠালতলী বাজারসহ ক্যাম্পের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ তাৎক্ষণিক উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করে। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

এর মধ্যে কক্সবাজার, রামু ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেওয়া হয়েছে। দুপুর ২ টার পর রামু স্টেশনের আরও ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি জানান, এরমধ্যে প্রাথমিকভাবে ২ শতাধিক রোহিঙ্গাদের ঘর ও এনজিও সংস্থার কেন্দ্র পুড়ে গেছে। হতাহতের কোন খবর এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ডি-১ ব্লকের মাঝি বশির বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত আমাদের জানা নেই। আমার ব্লকের সব ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আহতের তথ্য জানা নেই।

ডি-২ ব্লকের মাঝি জাহিদ হোসেন বলেন, হঠাৎ কীভাবে আগুন ধরেছে আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। ঘর থেকে কিছু কিছু জিনিস আমরা বের করতে পেরেছি।

প্রাথমিকভাবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ডি-১ ব্লকের আবদুল্লাহর স্ত্রী রান্না করার সময় কড়াইয়ে থাকা তেলে পানি পড়লে আগুন ওপরে উঠে যায়। পরে পুরো ব্লকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক অতীষ চাকমা জানান, ঘণ্টাদেড়েকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রামু ও উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, স্থানীয়দের ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার খোঁজ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।

বর্তমানে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এর আগে গত ২৪ মে একই ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভস্মীভূত হয় ৩ শতাধিক বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আগুন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন