লামায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব
লামা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুই শতাধিক পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি- বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, সড়ক নির্মাণ, অবৈধভাবে ইট ভাটা পলিচালনা, পাথর উত্তোলন, বসত বাড়ি নির্মাণ, বানিজ্যিক ভিত্তিতে পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করাসহ নানাবিধ অযুহাত দিয়ে পাহাড় কাটার এই মহোৎসব চলছে বলে জানা গেছে।
লামা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে লামা পৌরসভার মধুঝিরিতে পাহাড় কাটা অবস্থায় একটি স্কাভেটর জব্দ করেছেন।
সহকারী কমিশনার ভূমি মাহফুজা জেরিন জানান, বর্তমানে লামার লোকজন যেভাবে পাহাড় কাটছে তাতে করে লামার পরিবেশগত ভারসাম্য চরমভাবে হুমকির মুখে পড়বে। জানা গেছে, সম্প্রতি লামা পৌরসভার মধুঝিরি, লাইনঝিরি, কলেজগেট, রাজবাড়ি, কুড়ারিয়ার টেক, রূপসী পাড়া, ফাঁসিয়াখালী, মেরাখোলা, সরই, আজিজনগর, ফাইতং ও গজালিয়ায় ৫০ টির অধিক পাহাড় কাটা হয়েছে। আরো দুই শতাধিক পাহাড় কাটা অবাহত আছে। পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা নিজেদেরকে সরকার দলীয় লোক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ উঠেছে।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল জিজ্ঞাসায় বলেন পাহাড় কাটা বন্ধ করার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের। লামা উপজেলার চলমান পাহাড় কাটা বন্ধ করার বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন জানান, জেলা ও উপজেলা স্থানীয় প্রশাসন সচেতন হলে পাহাড় কাটা রোধ করা সম্ভব। আপনারা পাহাড় কাটার বিষয় গুলো পত্রিকায় লিখেন। প্রয়োজনে পরিবেশ অধিদপ্তর বিরুদ্ধেও লিখতে পারেন।