শাপলা চত্বরের ঘটনায় নীরব স্থানীয় মিডিয়া: ইকোনমিস্ট
ডেস্ক নিউজ:
বৃটেনের বিখ্যাত ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬ই মে শুরুর দিকে শাপলা চত্বরে আসলেই কী হয়েছে তা অস্পষ্ট। এসময় স্থানীয় মিডিয়াগুলোকে নীরব রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা নতজানু ভূমিকা রেখেছে।
ম্যাগাজিনটির আগামীকাল প্রকাশিতব্য সংখ্যায় এসব কথা বলা হয়েছে। এরই মধ্যে অনলাইন সংস্করণে এ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স ইন বাংলাদেশ, ইন হট ব্লাড। দ্য কিলিং অব ইসলামিস্ট হার্ডলাইনার প্রমিজ ফার্দার ইন্সটেবেলিটি’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় যা ঘটেছে তা নির্বিচার গণহত্যার (ম্যাসাকার) মতোই।ঢাকায় কট্টর ইসলামপন্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্র্যাকডাউনে প্রায় ৫০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দেশের অন্যত্র আরো হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার বলছে, দশ হাজার পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে শত শত লোক নিহত হয়েছেন। ঢাকার বাইরেও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে নিহত হয়েছেন ২০ জন।
গুলি শুরুর আগে পুলিশ বাণিজ্যিক এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন আগেও স্বল্প পরিচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার কর্মী গত এপ্রিলে ঢাকায় লংমার্চ করে। যেখানে তারা ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করে তা পূরণের জন্য সময় বেঁধে দেয়। যেসব দাবির মধ্যে ইসলাম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ব্ল্যাসফেমি আইন প্রণয়নের কথাও রয়েছে।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দাবি দেশের বেশির ভাগ মডারেট মুসলিম এবং প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর বিপক্ষে যায়। যদিও বিএনপি হেফাজতকে সমর্থন দেয়। সামনের দিনগুলো হবে আরো কঠিন বলে প্রতিবেদনে দাবী করা হয়।