সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহত ৪৯, নিয়ন্ত্রণের কাজে সেনাবাহিনী
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোটিতে শনিবার (৪ জুন) রাতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর ডিপোতে আগুন ধরে যায়। আগুন এখনো জ্বলছে। কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী জানিয়েছেন।
বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, কনটেইনার ডিপোর ভেতর থেকে লাশের অপেক্ষায় আছেন ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা। ক্লান্ত দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসের অনেক সদস্যকে। এরপরও তাঁরা ঘটনাস্থলের অনেক দূর থেকে নিয়ে পানি আসছেন।
কন্টেইনার ডিপোর আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে না আসায় এ অভিযানে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল।
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কন্টেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমাদের কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা এখনো জানা যায়নি বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যের একটি কমিটি করা হবে। কমিটিকে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে।
আশরাফ উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি সহায়তা ডেস্ক খোলা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, প্রায় ২৬ একর আয়তনের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এখনো আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩০ কর্মী ও পুলিশের ১০ সদস্য আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন চার শতাধিকের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা গুরুতর।