সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার

রাঙ্গামাটিতে নানিয়ারচরে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নুরুল আলম গাজী হত্যাকাণ্ডের ১৮ বছর পরে মামলার এক নম্বর আসামী নিখিল নাথ (৫৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নানিয়ারচর হাসপাতাল পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নানিয়ারচর থানা পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন নানিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম। আসামী নিখিল নাথ নানিয়ারচর উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক বলে জানাগেছে।
ওসি নাজির আলম জানান, ২৭ ডিসেম্বর ২০০৬ এর ৩০২/৩৪ পেনাল কোড সিএস এর ০১নং আসামী নিখিল নাথ, পিতা-মনিন্দ্রনাথ কে ওয়ারেন্ট মূলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আমরা আসামীকে হাজতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানায় পুলিশ।
উক্ত আসামীর মামলার নথি যথাক্রমে,নানিয়ারচর থানা মামলা নং-০১ তারিখ ২৭/১২/২০০৬ইং। ধারা-৩০২/৩৪ দন্ডবিধি,জিআর নং ৩০৪/০৬। উক্ত আসামীকে রাঙামাটি কোর্টে প্রেরন করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর, মো. নাজির আলম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা হতে ওয়ারেন্টভূক্ত মামলার আসামী নিখিল নাথ-(৫০) আটক করে নানিয়ারচর থানা হেফাজতে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন নুরুল আলম গাজী নিহত হন।
এ ঘটনায় ২৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট নানিয়ারচর জোনের সার্জেন মো. শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে নানিয়ারচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাস্হল নানিয়ারচর উপজেলা ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের মাইসছড়ি পাড়ার জুরাছড়ি পাহাড়ের ওপর। মূলত সেনা টহল দলকে টার্গেট করে এই হত্যাকাণ্ড চালায় অস্ত্রধারীরা। এলাকাটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে।
ওই হত্যা মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে নানিয়ারচর উপর বাজার এলাকার বাসিন্দা মনিন্দ্রনাথের ছেলে নিখিল নাথকে (৫৮)। মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই আত্নগোপনে চলে যান নিখিল নাথ। ফলে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।