‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কোরিয়ার সহযোগিতা কামনা’

২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়তে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা কামনা করেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে ও আইটি খাতে কোরিয়ার কোম্পানীগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারি) আইটি ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ঢাকায় কোরিয়া শীর্ষক ভার্চয়াল ডেস্ক চালু করার সময় ভার্চয়ালিযুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন। আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম দেলওয়ার হোসেন, বাংলাদেশে কোরিয়ার কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন এজেন্সির মহাপরিচালক জং ওন কিম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এবং উল্কাসেমির চিফ অপারেটিং অফিসার মিজান রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ২০৪১ সালে স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে কোরিয়ার সহযোগিতা কামনা করে পলক বলেন, বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে (এফডিআই) বিশ্বে কোরিয়ার অবস্থান পঞ্চম এবং আগামীতে আইটি খাতে তাদের বিনিয়োগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সহায়ক হবে।
তিনি বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে ও আইটি খাতে কোরিয়ার কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প ও দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত ভার্চুয়াল ডেস্কটি হবে মূলত বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) আইটি কানেক্টিভিটি হাব, যা দু’দেশের আইটি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক সংযোগ, সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা, দক্ষিণ কোরিয়ার বাজার থেকে বিনিয়োগ আনায় ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল-দক্ষিণ কোরিয়া প্ল্যাটফর্ম চালুর মধ্য দিয়ে সরকার এ পর্যন্ত চার দেশে চারটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করলো। বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান এবং দুই দেশের আইটি কোম্পানির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন কাজ করবে এ প্ল্যাটফর্ম। প্লাটফর্মটিতে বাংলাদেশের ৮০টিরও বেশি কোম্পানির প্রোফাইল রয়েছে।