কক্সবাজারে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে ঢাকা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ছাত্রীর মৃত্যু

fec-image

ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলের এ লেভেলের এক ছাত্রী কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছেন। নিহত ছাত্রীর নাম স্বর্না রশিদ (২২)।

পুলিশ এ ঘটনায় ওই তরুণী ছাত্রীটির কথিত প্রেমিক ওয়ালী আহমদ খানকে গ্রেপ্তার করে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) কারাগারে পাঠিয়েছে।

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে যখন আনা হয় তখন আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিটে ভর্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ঢাকায় ফিরে যাবার কথা বলে সিটে ভর্তি না হয়ে ফিরে যান হোটেল কক্ষে।

ডা. শাহীন আরও বলেন, সঙ্গীরা মাদকসেবী মেয়েটিকে নিয়ে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো হাসপাতালে আসেন। তখন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা। ডা. শাহীন মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখেন ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। ডা. শাহীনের মতে বেশি পরিমাণে (ওভার ডোজ) ইয়াবা সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ এ ঘটনায় ওই ছাত্রীটির কথিত প্রেমিক ওয়ালী আহমদ খানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্বর্ণা রশিদ রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী চকবাজারের ৭ নম্বর বেগম বাজার এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ পাপ্পুর কন্যা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক মো. শরীফ উল্লাহ স্বর্ণার পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, মূলত স্বর্ণা তার মামার বাড়িতে যাবার কথা বলেই বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার চলে আসেন।

“শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার সকালে ব্যবসায়ী বাবা সহ পরিবারের আরো কয়েক সদস্য ছুটে যান কক্সবাজারে। পুলিশের উপ পরিদর্শক জানান, মেয়েটি বাড়িতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চলে যান কক্সবাজারে। শোকাহত বাবার আফসোসের শেষ নেই। তিনি কন্যার শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। শনিবার লাশের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, স্বর্ণা রশিদ (২১) নামের ওই মেধাবী ছাত্রী তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারা ছিলেন সংখ্যায় ১০/১১ জন। শুক্রবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল জামান নামের একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। বিকালে সৈকত ভ্রমণ শেষেই হোটেল কক্ষে ফিরে বন্ধু-বান্ধব সবাই বসে যান মাদক সেবনে। সন্ধ্যার পর পরই মাদকের ঘোরে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা রশিদ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

ব্যাপারটি নিয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে স্বর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠিদের অনেকেই পালিয়ে যান। তবে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন ওয়ালী আহমদ খান নামের এক তরুণকে। ওয়ালী ঢাকার ২২ সিদ্ধেশ্বরী রোডের মনিমান টাওয়ারের বাসিন্দা আলী রেজা খানের পুত্র। পুলিশ তাকে সন্দেহজনক ধারায় আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন