আজমকে বডি শেমিং করে বিপাকে নাসিম শাহ

fec-image

চলমান বিপিএলে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছেন একগাদা পাকিস্তানি ক্রিকেটার। এমনই দুই ক্রিকেটার আজম খাঁন এবং নাসিম শাহ। স্রেফ মজার ছলেই আজম খানের শারীরিক গঠন নিয়ে দুষ্টুমি করেছিলেন নাসিম শাহ। তবে তার সেই দুষ্টুমি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে প্রবল সমালোচনা। নাসিম ‘বডি শেমিং’ করেছেন, উঠেছে এমন অভিযোগ।

ঘটনা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচের এক পর্যায়ে আজম খাঁনকে নিয়ে মজা করেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। আজম খানও তার মজাকে মজা হিসেবেই নিয়েছেন।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকের চোখেই নাসিমের এমন কাজ ভীষণ অন্যায়।

আসলে কী ঘটেছিল?
আজম খাঁন খেলছেন খুলনা টাইগার্সে, নাসিম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। আজম তখন ব্যাটিংয়ে, নাসিম ফিল্ডিং দলে। ম্যাচের এক পর্যায়ে আজম যখন ক্রিজে হাঁটছিলেন, ঠিক তখনই নাসিম হাস্যকরভাবে তাকে এসে ধাক্কা মারেন।

হাসতে হাসতে সোজা নাসিমকে একপাশে ঠেলে দেন আজম। তবে পেছনে পড়েও আজমের সঙ্গে দুষ্টুমি ছাড়েননি পাকিস্তানি পেসার। আজমকে নকল করে মজার ভঙ্গিতে ক্রিজে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যান নাসিম।

তার পেছনে যে নাসিম মজার অঙ্গভঙ্গি করছেন, তা জানতেনই না আজম খাঁন। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। স্টেডিয়ামে থাকা দর্শকরাও মজা হিসাবেই নেন।

কিন্তু এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। পাকিস্তানি এক সমর্থক টুইট করে লিখেছেন, ‘নাসিম শাহ আমাদের স্বদেশি আজম খাঁনকে উপহাস করছেন। তার চেহারার গঠন নিয়ে মজা করেছেন। এটা একেবারেই ঠিক কাজ নয়।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘নাসিম শাহ ভালো কিছু করতে পারতেন। বডি শেমিং কোনো মজার বিষয় নয়। নাসিমের সমর্থকদের জন্য দুঃখ লাগছে।’

অন্যজনের মন্তব্য, ‘বন্ধুত্ব থাকতেই পারে। কিন্তু ক্যামেরার সামনে বডি শেমিং যে কাউকে অস্বস্তিতে ফেলে দেবে। যদি সে তোমার বন্ধুও হয়।’

কেউ কেউ অবশ্য ১৯ বছর বয়সী নাসিমের প্রতি এতটা কঠোর হওয়া উচিত নয় বলেও মনে করছেন। এক সমর্থক টুইট করে লেখেন, ‘আমরা সবাই জানি নাসিম শাহ কতটা পরিপক্ক এবং নির্দোষ, তিনি হয়তো ভুল করেছেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত তিনি এটাকে বডি শেমিং করতে চাননি। শাদাব খান যখন আক্ষরিক অর্থে একই জিনিস করেছিলেন, তখন আমি কোনো নেতিবাচক টুইট দেখিনি। নাসিমের প্রতি এত কঠোর হবেন না, সে শিখবে।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন