‘আমজনতার দল’ ও ‘জনতার দল’ পাচ্ছে ইসির নিবন্ধন

fec-image

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আরও দুটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে একটি দল হচ্ছে ‘আমজনতার দল’। দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান গেল মাসে (নভেম্বর) নিবন্ধন না পেয়ে ইসির সামনে ১৩৪ ঘণ্টা অনশন করেছিলেন। অবশেষে সেই অনশনের ফল পেতে যাচ্ছেন তিনি।

নিবন্ধন পেতে যাওয়া আরেকটি দল হলো- ‘জনতার দল’। এই দলের চেয়ারম্যান হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল ও মহাসচিব মো. আযম খান। ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আখতার আহমেদ বলেন, পুনরায় কয়েকটি দলের কার্যক্রম তদন্ত করা হয়। পুনঃতদন্তে আমজনতার দল ও জনতার দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। দল দুটি নিবন্ধন পাওয়ার শর্ত পূরণ করায় কমিশন নিবন্ধন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দল দুটির বিষয়ে কারও আপত্তি রয়েছে কিনা- তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর সময় দিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। আগামীকাল (শুক্রবার) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, নিবন্ধন না পাওয়ায় আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান নির্বাচন ভবন-সংলগ্ন এলাকায় যে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন- তা শেষ পর্যন্ত ইসির ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আলোর মুখ দেখছে।

আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রজাপতি প্রতীকে আমরা নিবন্ধন পাব। ইসি বলেছে, আমরা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য সব শর্ত পূরণ করেছি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর গেজেট হবে।

গত ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে নির্বাচন কমিশন তিনটি দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার কথা জানানো হয়।

তবে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় তারেক রহমানের ‘আমজনতার দল’। সেই দিন বিকেল থেকেই নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন তিনি। এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টা পর ৯ নভেম্বর রাতে অনশন ভাঙেন তারেক।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইসি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন