কুতুবদিয়ায় রাস্তায় বাঁধ দেয়ায় ১৪ পরিবার পানিবন্দী

fec-image

কুতুবদিয়া উত্তর ধুরুং চলাচলের রাস্তায় বাঁধ দেয়ায় পানিবন্দী আছে ১৪টি পরিবার। ভোগান্তির মাঝে দু‘সপ্তাহ ধরে পানিতে বাস করছে অসহায় পরিবারগুলো। মেম্বার-চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করেও পাত্তা দিচ্ছেনা বাঁধ নির্মাণকারী সাবেক শিক্ষক হেলাল উদ্দিন।

সরে জমিন গিয়ে দেখা যায়, উত্তর ধুরুং ২নম্বর ওয়ার্ডের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক হেলাল উদ্দিন চলাচলের রাস্তায় বাঁধ নির্মাণ করেন মাছ চাষ করতে ২ বছর আগে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আহমদ বলেন, ঘরে ১৫ দিন ধরে পানি থাকায় শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতে না পারায় শশুরবাড়িতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া একই এলাকার শাহজাহান, সাজ্জাদ হোসেন, ইয়াসিন মোস্তফা, মন্ছুর প্রমুখ জানান, চলাচলের রাস্তায় বাঁধ নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানিতে ভোগান্তি হচ্ছে দু‘বছর যাবত। আগে রাস্তায় পানি নিষ্কাসনের জন্য পাইপ থাকলেও এবার তা সম্পূর্ণ বন্ধ করায় প্রবল বর্ষনে তারা ১৪টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ১৫ দিন যাবত।

সকল বাড়িতে পানি ওঠায় মুরগীর খামার, গবদি পশু, পুকুরসহ কাচা ঘর বিনষ্ট হয়ে গেছে। বাঁধ নির্মানকারী স্থানীয় মেম্বার আব্দুল হালিমের চাচা বিধায় কর্নপাত করছেন না বলে তারা অভিযোগ করেন। বাঁধ নির্মাণকারী সাবেক শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, তার নিজস্ব জমিতে মাছ চাষ করে মাছ রক্ষায় তিনি তার জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করেছেন। পানি নিষ্কাসনের জন্য গত বছরই তাদের বলেছেন। তারা বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেন।

ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, রাস্তায় বাঁধ নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে বলেছিলেন। তবে তিনি মাছ চাষ করায় বাঁধ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। পানি নিষ্কাসনে প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়ায়, পানিবন্দী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন