খাগড়াছড়িতে বর্ণিল আয়োজনে ৪৫তম ককবরক দিবস পালন
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদ, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, ককবরক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও য়ামুক’র উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে বর্ণিল আয়োজনে ত্রিপুরাদের ৪৫তম ককবরক(মাতৃভাষা) দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এতে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল ‘ককবরক বাই সুরুংনো,ককবরক বাই সুইলাইনো।’
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ককবরক ভাষার জন্য আত্মবলিদানকারী ধনঞ্জয় ত্রিপুরা’র প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে ককবরক ভাষায় কবিতা আবৃত্তি, গল্প, কৌতুক প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার পরপরে প্রতিযোগী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মোমবাতি জ্বালিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় বিশিষ্ট নাট্যকার ও লেখক অলিন্দ্র ত্রিপুরা (লিয়ন), জাবারাং কল্যাণ সমিতি’র নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ সদর আঞ্চলিক শাখা’র সাধারণ সম্পাদক মিহির কান্তি ত্রিপুরা, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের প্রভাষক, কবি ও লেখক মুকুল কান্তি ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সভাপতি নবলেশ্বর ত্রিপুরা (লায়ন), সাধারণ সম্পাদক জয় প্রকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা’র বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সভাপতি কার্তিক ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নয়ন ত্রিপুরাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত; ককবরক ত্রিপুরা জাতির মাতৃভাষা এবং ত্রিপুরা রাজ্যরর আদি ভাষা ককবরক। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারিতে ত্রিপুরা রাজ্যের একটি সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় প্রতিবছর এই দিনে ককবরক দিবস পালিত হয়। ককবরক ভাষা মূলত ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা। ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারে বসবাসরত ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এই ভাষায় কথা বলে থাকে।