খাগড়াছড়িতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

fec-image

খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেছেন,সুপ্রীম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।

শনিবার(২৭ মে) সকালে তিনি বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহীন উদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক (জেলা জজ) জনাব মো. আজিজুল হক, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী, খাগড়াছড়ি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ ওমর ফারুক সুজন, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার নাঈমুল হক, খাগড়াছড়ি জেলা বারের সভাপতি আশুতোষ চাকমা, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগোসহ সহ বিজ্ঞ বিচারক ও আইনজীবিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ জনাব মো. শাহীন উদ্দিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি শেখ হাসান আরিফ। খাগড়াছড়ি আদালতের পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষ্যে স্বাক্ষীদের যথা সময়ে আদালতে হাজির করার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিচারকদের প্রতি বিশেষভাবে নির্দেশ দেন।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, প্রধান বিচারপতির আগ্রহ ও নির্দেশনায় দেশের সকল জেলা জজ আদালতগুলোতে আগ্রহ এবং নির্দেশনায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এই ন্যায়কুঞ্জতে দুর-দুরান্ত হতে সাক্ষীরাসহ মামলার বিচারপ্রার্থী জনগন এসে অপেক্ষা করতে পারবে।

এই ন্যায়কুঞ্জে দুগ্ধপোষ্য শিশুদের মায়েদের জন্য ব্রেস্টফিডিং রুমের আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া এখানে বিচারপ্রার্থী জনগনের জন্য শৌচাগারসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি যে উদ্দেশ্য ন্যায়কুঞ্জ নির্মান করার উদ্যোগ নিয়েছেন সে উদ্দেশ্য যেন ব্যহত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সকলকে নির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি গণপূর্ত অধিদপ্তর ৪৮ লাখ টাকা ব্যায়ে এ বিশ্রামাগারটি আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে এ নির্মান কাজ শেষ করে দেয়ার কথা রয়েছে।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, বিচার, বিশ্রামাগার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন