খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগে নতুন চমক!
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শির ঘুম নাই! ঘটনাটি কি আসলে এমন? শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসন ও জেলাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর ছবি ও শুভেচ্ছা সম্বলিত ফেস্টুন টানানো হয়েছে।
শনিবারের ভোরের আলো ফোটার পর এমন ফেস্টুন দেখে জেলাবাসীর মাঝে আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ, সামনে নতুন চমক আসছে- এমন সব প্রশ্ন দেখা দেয়।
শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্ত্বর, কলেজ সড়ক, চেঙ্গী স্কয়ার মোড় ঘুরে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে ২৯৮ নং সংসদীয় আসনের বাসিন্দাদের ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কংজরী চৌধুরীর পক্ষে ফেস্টুন টানানো হয়েছে। ওইসব ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊসেশিং এমপি’র সংবলিত ছবির সাথে কংজরী চৌধুরী ছবি রয়েছে।
জনশ্রুতি আছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন কংজরী চৌধুরী। বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন তিনি। তা থেকে আগামী নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসন থেকে কংজরী চৌধুরী সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন চাওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা জানান, শহরের বিভিন্ন স্থানে কংজরী চৌধুরী ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেস্টুন টানিয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমি এখনো তা দেখিনি, তা্ই এবিষয়ে কোন মন্তব্য করব না।
যার পক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেস্টুন টানানো হয়েছে, সে কংজরী চৌধুরী এসবের কিছু জানেন না জানিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। দলের মূল স্রোতের সাথে আমার বিরোধ সৃষ্টি করার জন্য তৃতীয় কোন পক্ষ এ কাজ দাবি করে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার আমার কোন ইচ্ছে নেই।
২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনকে ঘিরে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগে শুরু হওয়া বিভক্তির রাজনীতির শেষ দেখতে জেলাবাসীকে আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল।
কেমনে বলি কখন কি হয়ে যায়