গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে কটেজ নির্মাণের অভিযোগ
বান্দরবানের লামা-ফাইতং সড়কের পাহাড় কেটে কটেজ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে লামা গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মারমা বিরুদ্ধে।
বর্তমানে তিনি লামা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই কয়েকদিন ধরে একর জুড়ে নির্বিচারে কাটছেন পাহাড়। প্রকাশ্যে পাহাড় কাটলেও তার বিরুদ্ধে এখনো প্রশাসন কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের সৌন্দর্য ধ্বংস করে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বাথোয়াই চিং মারমা। চারিদিকে সবুজ অরণ্যের বনাঞ্চল ধ্বসের পর উচুঁ পাহাড়কে কেটে সমতল করা হয়েছে। এমনকি বড় যন্ত্রে সাহায্যে পাহাড়কে বিভক্ত করে মধ্যখানে তৈরী করা হয়েছে সড়ক পথ। পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী সড়ক হওয়ায় রয়েছে পাহাড় ধ্বসে আশঙ্কা।
গত শুক্রবার সরজমিনে দেখা গেছে, লামা-ফাইতং সড়কের ৮ কিলোমিটার নামক স্থানে সড়ক ঘেষে একটি বিশাল পাহাড়। সে পাহাড়ের উপর কটেজ নির্মাণের প্রস্তুতির নিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান। বড় যন্ত্রের সাহায্যে চারিপাশে পাহাড় কেটে মাঠ তৈরী করা হয়েছে। সেখানে উচুঁ পাহাড় কেটে সমতল করে স্থাপন করেছে একটি বাঁশে বেড়া ঘর। পাহাড়কে সমতলে পরিণত করতে প্রতিদিনই কাজ করছেন আট থেকে নয়জন শ্রমিক। প্রায় কয়েকদিন যাবত চেয়ারম্যানের নির্দেশনার অনুযায়ী পাহাড় কেটে চলেছেন শ্রমিকরা। এখনো সেটি চলমান।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মারমা নির্দেশনার অনুযায়ী তারা কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে পাহাড় কেটে কটেজ স্থাপন করা হবে। তবে নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
যোগাযোগ করা হয় লামা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মারমা সাথে। পাহাড় কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি পাহাড় কাটেনি’ উচুঁ পাহাড়কে লেভেল করার জন্য সমতল করা হয়েছে। কয়েকদশক আগে সেখানে রাস্তাও ছিল। সেখানে পরিদর্শনে এসেছে লামা উপজেলার ইউএনও।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফখর উদ্দিন জানিয়েছে সরজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হবে। পাহাড় কাটার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।