চকরিয়ায় আধুনিকমানের চিকিৎসা সেবায় মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতাল উদ্বোধন

fec-image

মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতাল নতুন ভবন উদ্বোধনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন হাতে নিয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাটস্থ মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত এই হাসপাতালটি ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য আধুনিকমানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে নির্মাণ করেছেন নতুন অবকাঠামো।

বাড়ানো হয়েছে হাসপাতালের পরিধি। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারী এবং আধুনিকমানের সবধরণের চিকিৎসা উপকরণ।

শুক্রবার(২৮ ফ্রেবুয়ারি) বিকালে হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন হাসপাতালের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জোসেফ অমুল্য রায়।

শুক্রবার বিকালে চকরিয়ায় আধুনিকমানের চিকিৎসা সেবার দ্বার উম্মোচন উপলক্ষে মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতাল নতুন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।

হাসপাতালের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জোসেফ অমুল্য রায়ের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মোঃ শিবলী নোমান, সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান, ওসি তদন্ত একেএম শফিউল আলম চৌধুরী।

এছাড়াও সাবেক চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম বুলবুল, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উন্মে কুলছুম মিনু, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ নাতেন প্রিবিজন, গ্লোবাল নেইভার্স(ইউএসএ) পাল ডিভার্স, একরোর্স বাদ্রার্স(কানাডা) মেইন বুমা, চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন অব ব্যাপিষ্ট বুম আরসিভালর্ড, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এসোসিয়েশন অব ব্যাপিষ্ট খোরশেদ আলম, হাসপাতালের সার্জিক্যাল ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ডা. স্ট্রিফেন কেলিসহ আরো অনেক।

নবনির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট অনিন্দ সুন্দর হাসপাতালটি মাত্র ২৮কোটি ৪৬ লক্ষ টাকায় ব্যয়ে তৈরী করা হয়েছে। এই হাসপাতালে আয়ূকাল মেয়াদ হবে দেড়শ থেকে ২শত বছর।যেখানে দুর-দুরান্ত হেলিকপ্টর যোগে এসে হাসপাতালে ছাঁদে নামতে পারবেন।

এখানে কারেন্ট ব্যতিত নিজস্ব জেনেরেটর দ্বারা আলোকিত ও সমস্ত এলাকাটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।ভবিষ্যৎতে এই হাসপাতালটিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুপান্তরিত করা হবে। এছাড়া বিনোদনমুলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন