চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় দোকান ভাংচুর ও লুটপাট, বৃদ্ধ নারীসহ আহত ৫

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টিউবওয়েল বিক্রি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ নারীসহ ৫ জনকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তৎমধ্যে গুরুতর আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ১১জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আহতরা হলেন, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছায়রাখালী এলাকার মৃত জালাল আহমদের পুত্র নুরুল হুদা মানিক (৪৩), তার ভাতিজা রিদুয়ানুল হক রাসেল (২৯), তার ছোট বোন ইরান জন্নাত (২৬), তার স্বামী মো: ইলিয়াস (৩২), তার বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগম (৫৮)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ছায়রাখালী এলাকার দোকান ব্যবসায়ী মো: ইলিয়াসের সাথে একই এলাকায় নুর হামিদের ছেলে শফিউল কাদের রনির সাথে একটি টিউবওয়েল বিক্রি সংক্রান্ত রিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই সময় দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি ঘটনা ঘটে। পরে শফিউল কাদের রনি ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে নানা ধরণের হুমকি-ধামকি চলে যায়। এরই জের ধরে ওইদিন বিকালে শফিউল কাদের তার চাচা অলি আহমদ ও আত্মীয় স্বজনের নেতৃত্বে ১৪ থেকে ১৫জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ইলিয়াসের দোকানে এসে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে মারধর ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। পরে তার আত্মীয়রা ঘটনার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে ইলিয়াসের স্ত্রী ইরান জন্নাত (২৬), স্ত্রীর বড় ভাই রিদুয়ানুল হক রাসেল (২৯), ইলিয়াসের বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগম (৫৮) ও চাচা শ্বশুর নুরুল হুদা মানিক (৪৩) কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তৎমধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ কর হয়। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে আহত নুরুল হুদা মানিক বাদী হয়ে ১২জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, থানায় মামলার দায়ের করার পর থেকে আসামীরা মামলার বাদী ও আহত পরিবার সদস্যদেরকে জীবনাশের হুমকি এবং নানা ধরণের ভয়ভীতি দিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগী মামলার বাদী নুরুল হুদা মানিক।

বাদী নুরুল হুদা মানিক আরও জানান, ঘটনার পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা দোকানে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যান বলে তিনি জানান। বর্তমানে মামলার বাদী ও পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায ভুগছেন। এনিয়ে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় লিখিত এজাহার দেওয়া হলে তা তদন্তপূর্বক মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তের জন্য থানার একজন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আহত, চকরিয়ায়, দোকান ভাংচুর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন