চুমু নিয়ে অক্সফোর্ডে গবেষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিচালিত নতুন একটি সমীক্ষাতে বলা হয়েছে মুল উদ্দেশ্য ছাড়াও চুমোর আরেকটি উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটি হলো জৈবিক আকর্ষণ। এর মাধ্যমে তরুন তরুনীরা নিজেদের রুচি, পছন্দের পরীক্ষা করে থাকে। আর এ কারণেই হয়তো সাধারণদের তুলনায় সুদর্শন তরুন তরুনীরা কিসিংটাকে বেশি উপভোগ করে থাকে বলে সমীক্ষায় অভিমত দেয়া হয়েছে। মানব সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ভাবে চুমোর প্রচলন থাকলেও যৌনাচরণ সমীক্ষাকারিদের কাছে এখনো এটা বেশ বড় ধরণের রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে। প্রাণী জগতের অন্য প্রাণীদের তুলনায় মানুষের মাঝে কিসিংয়ের কারণ হিসেবে তিনটি প্রধান তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। এতে মানুষ উদ্দীপিত হয়, এটি সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করে বা সম্ভাব্য সঙ্গী নির্বাচনে এটি একটি পরীক্ষামূলক সূচনা হিসেবে কাজ করে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি বিভাগের দুই গবেষক রাফায়েল লোডার্সকি এবং রবিন ডানবার তৃতীয় কারণটিকে নিজেদের সমীক্ষাতে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। অনলাইন জড়িপের জন্য তারা বেছে নিয়েছিলেন ৯০০ পূর্ণ বয়স্ক তরুন তরুনীকে। এদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই ছিলেন নারী। তাদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্কের ক্ষেত্রে চুমোর ভূমিকা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ ভাবে নারীরাই বেশি গুরুত্বপূর্ন বলে মত দিয়েছেন। তবে যে সব তরুনরা নিজেদেরকে সুদর্শন বলে মনে করেন বা নিজেদের একাধিক মেয়েবন্ধু রয়েছে তারাও এটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত দিয়েছেন।