টেকনাফে বিএনপি’র অভ্যন্তরিন কোন্দল চরমে

fec-image

টেকনাফে বিএনপি’র অভ্যন্তরিন কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। নিজেদের আসল বিএনপি দাবি করে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগ তুলেছেন।

এরই প্রেক্ষিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিকাল ৩টায় টেকনাফ পৌরসভার আলো কমিউনিটি সেন্টারে টেকনাফ উপজেলা বিএনপি ও পৌর শাখার উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ’র পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এতে বলা হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা বিএনপির ব্যানারে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে মর্মে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর ইশারায় এড. হাসান সিদ্দিকী ও মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় আব্দুল্লাহ’র উপর চাপিয়ে দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে শাহজাহান চৌধুরীর তথাকথিত নেতা এড. হাসান সিদ্দিকী ও মো. শাহাদাত হোসেনের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। ইতিপূর্বে ও এধরণের একাধিকবার ঘটনা ঘটেছিল। স্বয়ং শাহাদাত হোসেন ও হোয়াইক্যং দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি আলী আকবর মেম্বারের বাড়িতে উক্ত ঘটনাগুলো ঘটেছিল। কিন্তু বারবার শাহজাহান চৌধুরীর ইশারায় আব্দুল্লাহ’র উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে ।

সোস্যাল মিডিয়ার যুগে কোন কিছু গোপন করা যায় না। টেকনাফে যদি ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে কোন ধরণের সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকতো ফেসবুকে কেন প্রচার করা হয়নি? অথচ কথিত ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী ও কিছু বিএনপি নামধারী আওয়ামী এজেন্টের কুপরামর্শে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে সাধারণ মানুষের কাছে অধিক জনপ্রিয়তা থাকায় ইর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার শুরু করেছে।

শুধু তাই নই, ইতিপূর্বে আব্দুল্লাহকে হেয় করতে ও রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি এবং ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এই সমস্তের ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও বিএনপি নেতা হাশেম মেম্বার, নূরুল আমিন চৌধুরী, জামাত নেতা শাহ জালাল চৌধুরী এবং বিএনপির পকেট কমিটির নেতা হাসান সিদ্দিকী ও শাহাদত এরা সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টেকনাফের বিএনপি জীবনবাজী রেখে সংঘঠনটি টিকিয়ে রেখেছে। এখন তারা বিভিন্ন মামলার আসামী ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অথচ তাদেরকে বাদ দিয়ে পলাতকদের নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন করা হচ্ছে । টাকার বিনিময়ে ইয়াবা কারবারীদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হলো। হাসান সিদ্দিকী ও শাহাদাত ইয়াবা কারবারীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে শাহজাহান চৌধুরীকে দিয়েছে তা সবাই অবগত। আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে হয়রানি হওয়া নেতাকর্মীদের সান্তনা দিয়েছি এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছি। আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে এসমস্ত অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে অতীতেও যেমন বিভিন্ন জুলুম-নির্যাতন, মামলা-হামলা সহ্য করে বিএনপিকে শক্তিশালী করেছে ভবিষ্যতেও উখিয়া-টেকনাফের বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য আগামীতেও মাটি ও মানুষের নেতা জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। উক্ত অভিযোগগুলো সাংবাদিকদের তুলে ধরেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সোলতান আহমদ বিএ।

এসময় কক্সবাজার জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো. আবদুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফর আলম মেম্বার, জেলা বিএনপির সদস্য হাসান আহমদ কাউন্সিলর, হাজী জালাল আহমদ মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরু নবী, আনোয়ার কামাল, ছেবর আলম, নুর কামাল, ছিদ্দিক আহমদ মেম্বার, এইচ এম ফারুক শরীফ, মো. সেলিম, নুরুল ইসলাম ইসু, মো. তৈয়ুব, আবদুল আমিন, আবদুর রহিম বোখারী, আবদুল্লাহ আল নোমান, খাইরুল বশর, মো. সাইফুল ইসলাম, হাফেজ উল্লাহ, মো. আরিফ, নুরুল কায়সার, মো. সাদেক, মো. ইব্রাহিম, জাহেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন