টেকনাফে বিজিবি ও র্যাবের সাঁড়াশি অভিযানে ইয়াবাসহ দুই পাচারকারী আটক


টেকনাফে বিজিবি ও র্যাবের সাঁড়াশি অভিযানে হাতে-নাতে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে টেকনাফের বড়হাবিব পাড়ার আবদুল মোনাফের পুত্র মোঃ শাকের (৪০) ও নাজির পাড়ার গুরামিয়ার পুত্র মোঃ জাকির (৩৫)।
টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্ণেল আশিকুর রহমান উক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উদ্ধারকৃত মাদকসহ আটকদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ ও সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বড় হাবিরপাড়া এলাকায় মোঃ শাকের এর বসত বাড়িতে ইয়াবা লুকিয়ে রাখার সংবাদে মাদক উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে বিজিবি ও র্যাবের একটি যৌথ দল অভিযান চালায়।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় টেকনাফের বড় হাবিরপাড়া এলাকায় মাদক কারবারীর বাড়ী ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘিরে রেখে দীর্ঘ সাত ঘন্টা ব্যাপক তল্লাশী চালায়। এক পর্যায়ে মোঃ শাকের এর বসতবাড়ির দক্ষিণ কোনে সুপারি বাগান সংলগ্ন টয়লেটের ভিতরে অভিনব কৌশলে লুকানো ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় মোঃ শাকের এবং জাকিরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
অভিযান চলাকালে এলাকায় বিজিবি ও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক চক্রের আরো ২-৩ জন পাচারকারী পালিয়ে যায়। তবে, চক্রের পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা জানায়- তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক পাচারের সাথে জড়িত। মায়ানমারে অবস্থানরত মাদক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মাদক সংগ্রহ করে দেশে পাচার করে আনা হয়।
টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্ণেল আশিকুর রহমান বলেন,মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষায় আমরা সংকল্পবদ্ধ ও সদা প্রস্তুত। দেশের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কোন আপস নয়। সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় এবং প্রতিটি মাদক চালান রুখে দিতে ২ বিজিবির অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

















