টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে এক রাতে ঘরে ফিরলেন অপহৃত ১০ জন

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার ১০ জন এক রাতেই মুক্তিপণের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রৈক্ষ্যং থেকে অপহৃত ওই ১০ জন কিশোর ও যুবক।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছে অপহরণের শিকার ১০ জন।

ফেরত আসা অপহৃতরা হলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচি পাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নুর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনেন ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪) ও হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং এলাকার আলী আকবর এর ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (২৬), কালা মিয়ার ছেলে ফজল কাদের(৪০)।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার সময় টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পশ্চিমে পাহাড় থেকে তাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়।

ফেরত আসা শাকিলের পিতা লেদু মিয়া বলেন, রাত সাড়ে ১১ টার সময় ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলে ফেরত দিয়েছে অপহরণকারীরা। মানুষের কাছ থেকে ধার করে টাকা নিয়ে ছেলেকে অপহরণকারীর হাত থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। ছেলেসহ ১০ জন সবাই মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত এসেছে।

হোয়াইক্যং কানজর পাড়া এলাকার গ্রাম পুলিশ শেখ কবির জানান, গত বুধবার সকালে ১০ জন কিশোর ও যুবক পাহাড়ে কাজ করতে যায়। অপহরণকারীরা তাদেরকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ১০ জনকে রৈক্ষ্যং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

হ্নীলা পানখালীর হামিদ হোসাইন জানান, চলতি মাসে অপহরণকারীর কবল থেকে দুই ইউনিয়ন হ্নীলা-হোয়াইক্যংয়ের মোট ২৫ জন মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।

হ্নীলার এক কলেজ ছাত্র ফাহিম সাইদি জানান, টেকনাফে হ্নীলা মানুষের দিন-রাত কাটছে কষ্টের মাঝে, একদিকে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে বোমার পর পর বিকট শব্দ, অন্যদিকে দুর্বৃত্তরা একের পর এক অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ২০১৭ সালে যখন ১২ লাখ অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশ এসেছে এর পর থেকে খুন অপহরণ বেড়ে গেছে, আমাদের ইউনিয়ন মধ্যে অসহায় মানুষের জীবিকা নির্বাহ করার এক মাত্র উপায় নাফনদী, পাহাড় কৃষি চাষ ও ক্ষেত খামার করে জীবিকা নির্বাহ করে। অপহরণের কারণে পাহাড়ে যেতেও পারছে না, এই দিকে নাফ নদীও বন্ধ, বিভিন্ন গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে রোহিঙ্গা থাকে। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বলেছি। গ্রামের ভাড়া বাসাতে অভিযান পরিচালনা করার জন্য।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন