দীঘিনালায় হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মিছিল
দীঘিনালা প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী নতুন বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। রোববার উপজেলার বোয়ালখালী নতুন বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে দীঘিনালা থানা বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলার লারমা স্কোয়ারে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাজু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, দীঘিনালা থানা বাজারের ব্যবসায়ী মো. সেলিম উদ্দীন, মেরুং বাজারের ব্যবসায়ী মো. আবদুর রহমান মেম্বার এবং বোয়ালখালী নতুন বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ফজল আহম্মদ। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলমসহ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
বোয়ালখালী নতুন বাজারে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় বোয়ালখালী নতুন বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মের্সাস কাশেম এন্ড ব্রাদার্স এর স্বতাধিকার মো. জসিম বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম (২৮), উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. রাজন (২৪), দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান (২৫) এবং মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে টক্কর আনোয়ার (৩৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলা হওয়ার পরে আনোয়ার হোসেন নামে একজন আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ। দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে করে জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার সাড়ে দশটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোয়ালখালী নতুন বাজার এলাকা থেকে ২নম্বর বোয়ালখালী (সদর) ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেলকে আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ। এ সময় তার দেহ তল্লাশী করে সাথে থাকা ৪০টি ইয়াবা উদ্ধার করে।
এদিকে রাতে থানায় আটক যুবলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে, তদবির করে ব্যর্থ হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থানায় আটক, গুজব ছড়িয়ে থানার সামনে ছাত্রলীগের কর্মীদের জড়ো করে, রাত দুইটার দিকে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগের একাংশ। পরে বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ছোট ভাই ও বোয়ালখালী নতুন বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিমের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুর করে। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।